ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, তিন দিন ধরে একদল প্রতারক চক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। বাস্তবে কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি। এই চক্রের মূল কাজ হলো আমাদের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক, যারা এ সম্পর্কে জানেন না, তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এজন্যই তারা প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে।
ঢাবির ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন ও অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এই ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকাসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। যথাযথভাবে নিয়মনীতি অনুসরণ করে স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় উপাচার্য যে কোনো প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করার জন্য অভিভাবক, পরীক্ষার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।