নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘‘স্মার্ট বাংলাদেশ’’ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।
মঙ্গলবার বিকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুস শহীদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্স অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মাথাপিছু জমির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে অধিক উৎপাদনশীল বীজ, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ উৎপাদনে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেলেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণ, নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন, ইকো-সেনসেটিভ অঞ্চলে মৎস্য অভয়াশ্রম, ইলিশ সম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বিকাশে সামুদ্রিক মাছের মজুত নিরুপণ ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের চাহিদা পূরণ করে মাছ, মাংস বিদেশে রপ্তানি করার বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে বিশ্বের একজন সৎ প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে একজন কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিহিত করে তার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।