বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম (আউটার ক্যাম্পাসসহ) বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার এক আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করে। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়।
একই আদেশে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলা হলেও তারা কালক্ষেপণ করে আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করছিল। পরে আদালতের আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নির্দেশ দেয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে ইউনিভার্সিটি চার ভাগ হয়েছে। সারা দেশে খোলা হয়েছে অনুমোদনহীন ১২০টিরও বেশি শাখা। টাকা দিলেই মেলে সনদ, এমন অভিযোগ প্রমাণও হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মঞ্জুরি কমিশন। এর বিরুদ্ধে মালিকপক্ষ মামলা দেয়ার পর মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে যায়। এই সুযোগে ছাত্র ভর্তি করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা সংকট, অনিয়ম, দুর্নীতি ও আউটার ক্যাম্পাসের মাধ্যমে সনদ বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ২০১০ সালের অক্টোবরে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাজী এবাদুল হককে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়। ২০১২ সালের মার্চ মাসে বিচার বিভাগীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা হয়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধের সুপারিশ করা হয়।