পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানির দুই দল হিসেবে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। দুই দলের ঝুলিতেই ছিল একটি করে জয়। ঢাকাকে হারিয়ে সেই সংখ্যা অতিক্রম করল সিলেট। এর আগে পাওয়া একমাত্র জয়টিও এই ঢাকার বিপক্ষেই এসেছিল।
অন্যদিকে, এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছিল ঢাকা। এখনো পর্যন্ত সেটিই হয়ে রইল তাদের একমাত্র জয়। আজ সিলেটের বিপক্ষে ম্যাচটিসহ টানা ৬ ম্যাচে হারল রাজধানীর এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
সিলেটের বিপক্ষে ঢাকা হেরেছে ৫ উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিলেট।
১২৫ রানের ছোট লক্ষ্যেও ভয় পেয়ে গিয়েছিল সিলেট। ৭৪ রান তুলতেই হারায় শুরুর ৫ উইকেট। এরই মধ্যে আউট হন ২৫ বলে ৩৩ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত। চলমান বিপিএলে আজই প্রথম দুই অঙ্কের রানের দেখা পেলেন জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটার।
দ্রুতই ৫ উইকেট পরলেও দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিলেটের মান রক্ষা করেন দুই বিদেশি বেনি হাওয়েল ও রায়ানা বার্ল। ৫৫ রানের অপরাজিত জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তারা। হাওয়েল ২৬ বলে ৩০ ও বার্ল ৩১ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এদিন মোসাদ্দেক হোসেনের পরিবর্তে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়ক করে ম্যাচে নামায় ঢাকা। তবে অধিনায়ক পরিবর্তন হলেও ভাগ্য পরিবর্তন হলো না ঢাকার। সিলেটের বিপক্ষেও দেখিয়েছে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ১২৪ রানে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ঢাকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান আরেক তলানির দল সিলেটের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। প্রথম ওভারেই উইকেট পেলেও দ্বিতীয় উইকেটে সিলেটকে হতাশ করেন নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান। দুজনের মিলে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। ঢাকাও দেখছিল বড় পুঁজির আশা।
তবে সব আশা ভাঙতে শুরু করে দলীয় ৮২ রানের মাথায় সাইফের বিদায়ের পর। ৩২ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। দলের সঙ্গে আর ২ রান যোগ হতে ফেরেন নাঈমও। ২৯ বলে সমান ২টি চার ও ছক্কার মারে ৩৬ রান আসে তার ব্যাটে।
এই দুজনের বিদায়ের পর আর কোনো ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। একে একে বিদায় নেন অ্যালেক্স রস, সাইম আইয়ুব, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলতে পারে ঢাকা।
সিলেটের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। ৪ ওভার ১৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে সফল সামিত প্যাটেলও।