ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন নেতৃত্বে জয় পেল সিলেট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯৯ বার

কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। বিপিএলের চলতি আসরে তারা খুব একটা খারাপ দলও গড়েনি। তবুও কাঙ্ক্ষিত জয় পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ষষ্ঠ ম্যাচ পর্যন্ত। প্রথম জয়টাও এল নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পেয়ে মোহাম্মদ মিঠুন দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে দলকে সামনে থেকে জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অবশেষে ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ের ধরা দিল সিলেটের।

এই ম্যাচ হারলে, অর্ধেক পথ বাকি থাকতেই সিলেট টুর্নামেন্টের চলতি আসরে নিজেদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলত। তবে ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরেকটি তিক্ত হার দেখতে হয়নি তাদের। দুই দিনের বিরতির পর বিপিএলের সিলেট পর্বে ব্যতিক্রমী দৃশ্যের জন্ম দিল স্বাগতিকরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়া সিলেটকে খাদ থেকে টেনে তুলেছেন অধিনায়ক মিঠুন। তার ৫৯ এবং সামিত প্যাটেলের ৩২ রানে ভর করে তারা কোনোরকমে ১৪২ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায়। ঢাকার তারকা পেসার শরিফুল ইসলাম সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দলও একই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। যদিও শেষদিকে তাদের নিশ্চিত পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন টেল-এন্ডারে নামা তাসকিন আহমেদ। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১২৭ রানে।

রান তাড়ায় শুরু থেকেই সিলেটের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ঢাকা। পাকিস্তানি ওপেনার সাইম আইয়ুব ভিন্ন কিছুর আভাস দিয়েও তিনি ফেরেন মাত্র ১৩ (৯ বল) রানে। এরপর দলীয় ১৯ রানেই ঢাকার দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। সাইম ও নাঈম শেখ দুজনকেই ফিরিয়েছেন জিম্বাবুইয়ান পেসার রিচার্ড এনগারাবা। পুরো ম্যাচেই বাঁহাতি এই বোলার দাপট দেখিয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে ঢাকা কিছুটা কামব্যাকের সুযোগ তৈরি করলেও, সেটি ভেস্তে যায় সাইফ হাসান রানআউট হয়ে গেলে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফেরেন সাইফ।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে ঢাকা উইকেট হারাতে থাকে। সমান ১৮ বল করে খেলে অ্যালেক্স রস ২০ ও গুলবাদিন নাইব করেন মাত্র ১২ রান। বরাবরের ন্যায় বড় রান পাননি ইরফান শুক্কুরও (৯ বলে ৪)। মাত্র ১১ রান করেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ৯২ রানে ৯ উইকেট হারানো ঢাকার হার প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তবে শেষদিকে ঝলক দেখিয়েছেন তাসকিন। ১১ বলের ইনিংসে ৬টি চারের বাউন্ডারিতে তিনি ২৭ করেন। যদিও সেটি দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। জয় থেকে ১৫ রান দূরত্বে ঢাকার ইনিংস থেমে যায়।

সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন এনগারাবা। এছাড়া রেজাউর রহমান ২টি এবং নাইম হাসান ও বেনি হাওয়ের একটি করে শিকার করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন নেতৃত্বে জয় পেল সিলেট

আপডেট টাইম : ১২:৩২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছিল না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। বিপিএলের চলতি আসরে তারা খুব একটা খারাপ দলও গড়েনি। তবুও কাঙ্ক্ষিত জয় পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ষষ্ঠ ম্যাচ পর্যন্ত। প্রথম জয়টাও এল নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পেয়ে মোহাম্মদ মিঠুন দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে দলকে সামনে থেকে জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অবশেষে ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ের ধরা দিল সিলেটের।

এই ম্যাচ হারলে, অর্ধেক পথ বাকি থাকতেই সিলেট টুর্নামেন্টের চলতি আসরে নিজেদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলত। তবে ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরেকটি তিক্ত হার দেখতে হয়নি তাদের। দুই দিনের বিরতির পর বিপিএলের সিলেট পর্বে ব্যতিক্রমী দৃশ্যের জন্ম দিল স্বাগতিকরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়া সিলেটকে খাদ থেকে টেনে তুলেছেন অধিনায়ক মিঠুন। তার ৫৯ এবং সামিত প্যাটেলের ৩২ রানে ভর করে তারা কোনোরকমে ১৪২ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায়। ঢাকার তারকা পেসার শরিফুল ইসলাম সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দলও একই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। যদিও শেষদিকে তাদের নিশ্চিত পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন টেল-এন্ডারে নামা তাসকিন আহমেদ। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১২৭ রানে।

রান তাড়ায় শুরু থেকেই সিলেটের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ঢাকা। পাকিস্তানি ওপেনার সাইম আইয়ুব ভিন্ন কিছুর আভাস দিয়েও তিনি ফেরেন মাত্র ১৩ (৯ বল) রানে। এরপর দলীয় ১৯ রানেই ঢাকার দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। সাইম ও নাঈম শেখ দুজনকেই ফিরিয়েছেন জিম্বাবুইয়ান পেসার রিচার্ড এনগারাবা। পুরো ম্যাচেই বাঁহাতি এই বোলার দাপট দেখিয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে ঢাকা কিছুটা কামব্যাকের সুযোগ তৈরি করলেও, সেটি ভেস্তে যায় সাইফ হাসান রানআউট হয়ে গেলে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফেরেন সাইফ।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে ঢাকা উইকেট হারাতে থাকে। সমান ১৮ বল করে খেলে অ্যালেক্স রস ২০ ও গুলবাদিন নাইব করেন মাত্র ১২ রান। বরাবরের ন্যায় বড় রান পাননি ইরফান শুক্কুরও (৯ বলে ৪)। মাত্র ১১ রান করেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ৯২ রানে ৯ উইকেট হারানো ঢাকার হার প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তবে শেষদিকে ঝলক দেখিয়েছেন তাসকিন। ১১ বলের ইনিংসে ৬টি চারের বাউন্ডারিতে তিনি ২৭ করেন। যদিও সেটি দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। জয় থেকে ১৫ রান দূরত্বে ঢাকার ইনিংস থেমে যায়।

সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন এনগারাবা। এছাড়া রেজাউর রহমান ২টি এবং নাইম হাসান ও বেনি হাওয়ের একটি করে শিকার করেন।