কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সেবা দিতে নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইন, বিচারক ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। টানা তৃতীয় বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর চলমান কাজের অগ্রগতি জানতে ও নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সভা করেন আনিসুল হক।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্যেক দপ্তর/সংস্থার প্রধান নিজ নিজ দপ্তর বা সংস্থার কাজের অগ্রগতি, সমস্যা, সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এর পর আইনমন্ত্রী দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিজ নিজ দপ্তরের কাজের গতি বাড়াতে বলেন। সেই সঙ্গে চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দেন।
এ সময় মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর বেশকিছু কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী। এর মধ্যে নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, পুরাতন আদালত ভবনের ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ ও ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে বিচারকাজে গতি বাড়বে। ফলে, মামলাজট কমবে। তাই, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী মামলাজট কমাতে উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোসহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রম জোরদার করতে বলেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি ও দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধন ও বাংলা অনুবাদের খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে খসড়া তৈরি করে মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এখন থেকে প্রতি দুই মাসে একবার সমন্বয় সভা করে দপ্তর/সংস্থার কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।