ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাকিবদের হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় খুলনার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫৬ বার

চলমান বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের জয়রথ চলছেই। প্রথম দুই ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালকে হারানোর পর আজ শুক্রবার সাকিব আল হাসানের দল রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল দলটি।

সিলেটে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের লড়াকু পুঁজি তোলে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৩২ রানেই অলআউট হয় রংপুর। খুলনা জয় পায় ২৮ রানের।

১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। ১১ রানেই বিদায় নেন দুই বিদেশি বাবর আজম ও ব্রেন্ডন কিং। তৃতীয় উইকেটে বিপদ সামাল চেষ্টা করেন রনি তালুকদার ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। ৩৮ রানের জুটি ভাঙে ৪৯ রানের মাথায় রনি ফিরলে। ৬১ রানের মাথায় ২২ বলে ৩০ রান করে ফেরেন শামীম। এরপর মোহাম্মদ নবী (৩০ বলে ৫০) ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। সাকিব আউট মাত্র ২ রান করে।

ব্যাটের পর বল হাতেও সফল ছিলেন দাসুন শানাকা। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নওয়াজ।

এর আগে, প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে খুলনা টাইগার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুর। খুলনার বাংলাদেশি ব্যাটাররা এদিন যতটা ব্যর্থ হয়েছেন ততটাই সফল হয়েছেন বিদেশি ব্যাটাররা। প্রথম ৫০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় খুলনা। এরা হলেন জাতীয় দলে খেলা তিন ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়, মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেন। এদের মধ্যে দুই অঙ্কের রানও স্পর্শ করতে পারেননি কেউ।

তবে টপ অর্ডারের এই ব্যর্থতার মধ্যেও ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন এভিন লুইস। দলীয় ৬৪ রানে তিনি যখন আউট হন, তখন তার একার রানই ৩৭। ২৫ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এই ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপরই জুটি বাঁধেন দলটিতে খেলা লংকান ক্রিকেটার দাসুন শানাকা ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। শানাকা একটু রয়েসয়ে খেললেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন নওয়াজ। পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। ১৪১ রানের মাথায় ৩৩ বলে ৪০ রান করে ফেরেন শানাকা। আর শেষ ওভারের তৃতীয় বলে দলের রান যখন ১৫৫ তখন ফেরেন নওয়াজ। ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে খুলনা।

বল হাতে রংপুরের সবচেয়ে সফল পেসার হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। সমান ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিলেও উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব আল হাসান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাকিবদের হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় খুলনার

আপডেট টাইম : ০১:০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

চলমান বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের জয়রথ চলছেই। প্রথম দুই ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালকে হারানোর পর আজ শুক্রবার সাকিব আল হাসানের দল রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল দলটি।

সিলেটে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের লড়াকু পুঁজি তোলে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১৩২ রানেই অলআউট হয় রংপুর। খুলনা জয় পায় ২৮ রানের।

১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। ১১ রানেই বিদায় নেন দুই বিদেশি বাবর আজম ও ব্রেন্ডন কিং। তৃতীয় উইকেটে বিপদ সামাল চেষ্টা করেন রনি তালুকদার ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। ৩৮ রানের জুটি ভাঙে ৪৯ রানের মাথায় রনি ফিরলে। ৬১ রানের মাথায় ২২ বলে ৩০ রান করে ফেরেন শামীম। এরপর মোহাম্মদ নবী (৩০ বলে ৫০) ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। সাকিব আউট মাত্র ২ রান করে।

ব্যাটের পর বল হাতেও সফল ছিলেন দাসুন শানাকা। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নওয়াজ।

এর আগে, প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে খুলনা টাইগার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুর। খুলনার বাংলাদেশি ব্যাটাররা এদিন যতটা ব্যর্থ হয়েছেন ততটাই সফল হয়েছেন বিদেশি ব্যাটাররা। প্রথম ৫০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় খুলনা। এরা হলেন জাতীয় দলে খেলা তিন ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়, মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেন। এদের মধ্যে দুই অঙ্কের রানও স্পর্শ করতে পারেননি কেউ।

তবে টপ অর্ডারের এই ব্যর্থতার মধ্যেও ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন এভিন লুইস। দলীয় ৬৪ রানে তিনি যখন আউট হন, তখন তার একার রানই ৩৭। ২৫ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এই ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপরই জুটি বাঁধেন দলটিতে খেলা লংকান ক্রিকেটার দাসুন শানাকা ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। শানাকা একটু রয়েসয়ে খেললেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন নওয়াজ। পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। ১৪১ রানের মাথায় ৩৩ বলে ৪০ রান করে ফেরেন শানাকা। আর শেষ ওভারের তৃতীয় বলে দলের রান যখন ১৫৫ তখন ফেরেন নওয়াজ। ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে খুলনা।

বল হাতে রংপুরের সবচেয়ে সফল পেসার হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। সমান ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিলেও উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব আল হাসান।