নাঈম শেখের দুর্দান্ত ফিফটিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সহজ জয়ের পথেই ছিল দুর্দান্ত ঢাকা। ১৪৪ রানের জবাব দিতে নেমে ১৩ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগে বিনা উইকেটেই করে ফেলে ১০১ রান। তবে তারপর থেকেই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা। যদিও তাতে শেষরক্ষা হয়নি। তবে সহজ জয়ের পথে ঢাকাকে জিততে হয়েছে কঠিনভাবেই; ৫ উইকেট হারিয়ে ও মাত্র ৩ বল বাকি থাকতে।
১৪৪ রানের জবাব দিতে নেমে এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকেন নাঈম ও লংকান খেলোয়াড় দানুষ্কা গুনাতিলাকা। ৫ ওভার ৩ বলেই ৫০ রান তুলে ফেলে এই জুটি। ৩৮ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন নাঈম। এই জুটি ১০০ রান পূর্ণ করে ১২ ওভার ৩ বলে।
১০১ রানের মাথায় তানভির ইসলামের বলে ফেরেন নাঈম। তার আউটের পরই শুরু হয় ছন্দপতন। ১১৮ রান তুলতেই হারায় আরও দুই উইকেট। শেষ ২৪ বলে দরকার ছিল ২৬ রান। দেখতে সহজ হলেও বলে-ব্যাটে করতে পারছিল না ঢাকার ব্যাটাররা। ১৩৩ রানের মাথায় সাইফ হাসান ফিরলে বিপদ আরও বাড়ে। তবে ক্যামিও ইনিংসে ঢাকাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন ইরফান শুক্কুর। জয় থেকে ৩ রান দূরে থাকতে আউট হলেও ততক্ষণে খেলে ফেলেন ১৬ বলে ২৪ রানের ইনিংস। ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ইরফানের ফেরার পর মাঠে নামেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। প্রথম বলেই ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দুপুর আড়াইটায় শুরু হয় ম্যাচ। টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। শুরুতেই আঁটসাঁট বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তবে প্রথম উইকেট আসে চতুর্থ ওভারে। লংকান বোলার চতুরঙ্গ ডি সিলভার বলে ১৬ বলে ১৩ রান করে আউট হন লিটন দাস।
এরপর শক্ত প্রতিরোধ গড়েন ইমরুল কায়েস ও তাওহীদ হৃদয়। উইকেট কামড়ে পড়ে থাকলেও প্রত্যাশিত গতিতে রান তুলতে পারেননি তারা। ১০৭ রানের জুটি গড়তে তারা খরচ করেন ৮৭ বল। ১৩০ রানের মাথায় হৃদয় ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৪১ বলে ১টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে বিদায় নেন হৃদয়।
দলের সঙ্গে আর ১ রান যোগ হতেই ফেরেন ইমরুল। ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া এই ওপেনার ৫৬ বল খেলে করেন ৬৬ রান। ৬ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। শেষদিকে খুশদিল শাহ ৫ বলে ১৩ রানের ক্যামিও খেললে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা।
ঢাকার হয়ে ৩ উইকেট পান শরিফুল। ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় উইকেটগুলো তুলে নেন তিনি। ৩ উইকেটই শরিফুল পান ইনিংসের শেষ ৩ বলে। আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক এল এই পেসারের হাত ধরেই। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি উইকেট পেয়েছেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা।