দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর পর থেকেই গুঞ্জন চলছে, পাপন কি এবার তাহলে বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়ছেন? তিনি ছাড়লে নতুন কে আসতে পারেন এই দায়িত্বে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলে দেখা যায়, ভক্তরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে চাইছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। তবে এখনো ক্রিকেট বোর্ডের কোনো দায়িত্ব পালন না করা মাশরাফির কি কোনো সুযোগ আছে? বা এর আগেও বিসিবি সভাপতি হওয়ার ব্যাপারে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার কি কোনো সুযোগ আছে? এমন প্রশ্নও ঘোরপাক খাচ্ছে ভক্তদের মনে।
তবে আজ শুক্রবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি খোলাসা করেছেন পাপন। যেখানে সরাসরি না বললেও মাশরাফি কিংবা সাকিবের সহসাই যে হওয়ার সুযোগ নেই, সেটি জানিয়ে দিলেন।
পাপনের ভাষ্য, ‘আইনে কোনো সমস্যা নেই (পাপনের বিসিবি সভাপতি থাকার ব্যাপারে)। এটাই হচ্ছে বড় কথা। তবে একসঙ্গে যদি দুই দায়িত্বে থাকি তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা, অস্বাভাবিক কিছু না। আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর (পরিচালক) আছেন তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারো আসার কোনো সুযোগ নেই।’
পরবর্তী বোর্ড সভাপতি কে হবেন, সেটি নিয়ে এখনই তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন। বলেন, ‘এখানে কয়েকটি কথা আছে। প্রথমত, ইচ্ছা করলেই ছেড়ে (বিসিবির দায়িত্ব) দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে দেখেছি। দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে হয় আমার, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। তবে অপশন কি কি আছে ভেবে দেখা যেতে পারে। …এখানে দুটো জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের (বিসিবি) মেয়াদ, যেটা আইসিসি সবসময় চায় তাদের নির্বাচিত কমিটির ফুল মেয়াদ। আরেকটি হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ।’