ইনিংস শেষ হওয়ার ১১ বল আগেও ভারতের রান ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৩। এরপর বলে আসেন আগের ৫ ওভারে ৩০ রান দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লুঙ্গি এনগিডি। ওই ওভারে কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থেকেই এসব দেখছিলেন কোহলি।
পরবর্তী ওভারে বল করতে আসেন সিরিজজুড়ে দারুণ ফর্মে থাকা কাগিসো রাবাদা। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন কোহলি। তার দুই বল পর রান আউটের শিকার মোহাম্মদ সিরাজ। তার পরের বলে শেষ ভারতীয় ব্যাটার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকেও আউট করেন রাবাদা। অর্থাৎ, ভারত শেষ ৬ উইকেট হারায় কোনো রান না করেই। অলআউট ওই ১৫৩ রানেই।
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর মতে, শূন্য রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানোর ঘটনা টেস্টে এই প্রথম ঘটলো। কেপ টাউনে চলমান এই টেস্টে দুই দলের প্রথম ইনিংস টিকল মাত্র ৩৪৯ বল। টেস্টে যেটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে ১৯০২ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত একটি টেস্টে দুই দল প্রথম ইনিংসে টিকেছিল মাত্র ২৮৭ রান।
টেস্টের এক ইনিংসে ৬টি ‘ডাক’-এর ঘটনা এবারই প্রথম না হলেও এটিই যৌথ সর্বোচ্চ। এর আগেও ইনিংসে ভারতের ৬ ব্যাটার ডাক মেরেছিলেন, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সর্বোচ্চ ৩ বার টেস্টের এক ইনিংসে ৬টি ডাক মারার লজ্জার রেকর্ড বাংলাদেশের। একবার করে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের।
১৫৩ রানে অলআউট হলেও প্রথম ইনিংসে লিডটা মন্দ হয়নি ভারতের। কারণ, প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৫৫ রানেই অলআউট করে দিয়েছিল ভারত। সিরাজের পেস আগুনে ছাড়খাড় হয়েছে স্বাগতিকরা। একাই ৬ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
১৯৩২ সালের পর টেস্টের কোনো ইনিংসে এত কম রানে কখনো গুটিয়ে যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের বিপক্ষে কোনো দলেরও ইনিংসে এটি সর্বনিম্ন রান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে এর আগে একমাত্র ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মানিন্দার সিং। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালোরে ১৯৮৭ সালে এই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যদিও সেই টেস্টে হেরে যায় পাকিস্তান।