ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হার দিয়ে বছর শেষ টাইগারদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৬৫ বার

লো স্কোরিং ম্যাচে বৃষ্টির আগে লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বিশেষ করে ষষ্ঠ উইকেটে নিশাম ও স্যান্টনারের জুটির পর। শেষ পর্যন্ত নিজেদের রেকর্ড ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে ব্যর্থ হলো টাইগাররা। হার দিয়ে বছর শেষ করলো বাংলাদেশ। এতে করে তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে নিউজিল্যান্ড ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান সংগ্রহ করে। বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এগিয়ে থাকায় জয় তুলে নেয় কিউইরা।

বাংলাদেশের দেয়া মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডও। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শেখ মেহেদী যার শুরুটা করেন। প্রথম দুই উইকেট তুলে নেন মেহেদী। এরপর শরিফুল তাকে যোগ্য সহায়তা দিয়ে জোড়া উইকেট নেন তিনিও। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে এসে নিশাম ও স্যান্টনার এসে শক্ত জুটি গড়লে ফিঁকে হতে থাকে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। বৃষ্টির আগে এ দুজন গড়েন ৪৬ রানের জুটি। এরপরই আঘাত হানে বেরসিক বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত নিশাম ২৮ ও স্যান্টনার ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী ও শরিফুল ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ৪ রান তুলতেই টিম সাউদির শিকারে পরিণত হন সৌম্য সরকার। কিউই পেসারের বল বাঁক খেয়ে ভেতরে ঢুকতেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন, আম্পায়ারের আবেদনের বিরুদ্ধে রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি সৌম্য।

ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও শুরুটা করেছিলেন চার মেরে। অ্যাডাম মিলনের ওভারে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে খেলায় কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু চাপ কমাতে গিয়ে শান্ত হয়ে যান অশান্ত। এতে করে যা হওয়ার তাই ঘটে, মিলনের বলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ১৫ বলে তিনি করেন ১৭ রান।

পরের ওভারে সিয়ার্সের বলে আউট রনিও। কিউই পেসারের ইয়র্কারে তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে যান। তার বিদায় মাত্র ১০ রানে (১০ বল)। পেস তোপের পর স্পিন ঝলক শুরু করেন কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। আফিফ ও হৃদয়রা তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না, সেখানে আবার যোগ দেন ইশ সোধি। এতে করে টাইগাররা আরও বিপাকে পড়ে।

শেষ পর্যন্ত আসা-যাওয়ার মাঝে ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার আগে ১১০ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। স্যান্টনার ৪টি এবং সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হার দিয়ে বছর শেষ টাইগারদের

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

লো স্কোরিং ম্যাচে বৃষ্টির আগে লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বিশেষ করে ষষ্ঠ উইকেটে নিশাম ও স্যান্টনারের জুটির পর। শেষ পর্যন্ত নিজেদের রেকর্ড ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে ব্যর্থ হলো টাইগাররা। হার দিয়ে বছর শেষ করলো বাংলাদেশ। এতে করে তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে নিউজিল্যান্ড ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান সংগ্রহ করে। বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এগিয়ে থাকায় জয় তুলে নেয় কিউইরা।

বাংলাদেশের দেয়া মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডও। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শেখ মেহেদী যার শুরুটা করেন। প্রথম দুই উইকেট তুলে নেন মেহেদী। এরপর শরিফুল তাকে যোগ্য সহায়তা দিয়ে জোড়া উইকেট নেন তিনিও। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে এসে নিশাম ও স্যান্টনার এসে শক্ত জুটি গড়লে ফিঁকে হতে থাকে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। বৃষ্টির আগে এ দুজন গড়েন ৪৬ রানের জুটি। এরপরই আঘাত হানে বেরসিক বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত নিশাম ২৮ ও স্যান্টনার ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী ও শরিফুল ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ৪ রান তুলতেই টিম সাউদির শিকারে পরিণত হন সৌম্য সরকার। কিউই পেসারের বল বাঁক খেয়ে ভেতরে ঢুকতেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন, আম্পায়ারের আবেদনের বিরুদ্ধে রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি সৌম্য।

ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও শুরুটা করেছিলেন চার মেরে। অ্যাডাম মিলনের ওভারে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে খেলায় কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু চাপ কমাতে গিয়ে শান্ত হয়ে যান অশান্ত। এতে করে যা হওয়ার তাই ঘটে, মিলনের বলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ১৫ বলে তিনি করেন ১৭ রান।

পরের ওভারে সিয়ার্সের বলে আউট রনিও। কিউই পেসারের ইয়র্কারে তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে যান। তার বিদায় মাত্র ১০ রানে (১০ বল)। পেস তোপের পর স্পিন ঝলক শুরু করেন কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। আফিফ ও হৃদয়রা তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না, সেখানে আবার যোগ দেন ইশ সোধি। এতে করে টাইগাররা আরও বিপাকে পড়ে।

শেষ পর্যন্ত আসা-যাওয়ার মাঝে ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার আগে ১১০ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। স্যান্টনার ৪টি এবং সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স ২টি করে উইকেট লাভ করেন।