অধিনায়কত্ব নিয়ে সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শেষে আর এক দিনও দলকে নেতৃত্ব দিতে চান না তিনি। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর তাই অধিনায়ক নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে।
সাকিব অধিনায়কত্ব না করলে কাকে দায়িত্ব দেবে বিসিবি। তবে কদিন আগে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের কাঁধেই থাকবে তিন সংস্করণের দায়িত্ব। বিসিবি তার ওপর আস্থা রাখলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে একমত নন মোহাম্মদ আশরাফুল।
সাকিবের অধিনায়কত্বের বিষয়ে আশরাফুল বলেছেন, সাকিব যদি করতে চায়, তাহলে খুব ভালো। তবে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে তার এক সাক্ষাৎকারে দেখেছিলাম, বিশ্বকাপের পরে সে আর এক দিনও অধিনায়কত্ব করতে চায় না। আমার মনে হয়, তাকে জোর না করে ফ্রি হয়ে খেলতে দেওয়া উচিত। যেহেতু সে রাজনীতি নিয়েও ব্যস্ত থাকবে। আমার মনে হয়, তাকে যদি খেলোয়াড় হিসেবে চিন্তা করে ক্রিকেট বোর্ড, সেটা বাংলাদেশের জন্য ভালো।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখনই দলের অধিনায়কত্ব করা উচিত না বলে মনে করেন আশরাফুল। অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম উল্লেখ করে সাবেক
অধিনায়ক বলেন, ‘কারণ, ৬ মাস পর যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। শান্ত ভালোও করছে। আমরা টেস্ট সিরিজটায় দেখলাম। বিশ্বকাপেও দুটা ম্যাচে করেছে। যাওয়ার আগে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে একটা ম্যাচে করেছিল। সে উপভোগ করছে অধিনায়কত্ব। আমার মনে হয়, এখন একজনের হাতে দিয়ে দেওয়া উচিত।’
সাকিবকে শুধু খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে চান আশরাফুল। সাবেক ব্যাটার বলেন, ‘সাকিবকে শুধু খেলোয়াড় হিসেবে সময়টা উপভোগ করুক। সেটাই বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।
অধিনায়কত্ব দেওয়াটা মানে তার জন্য আলাদা একটা চাপ হয়ে যাবে। কারণ, সে এতটা সময় দিতে পারবে না। যদিও এক সাক্ষাৎকারে সে জানিয়েছে, বাংলাদেশকে সময় দেবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বাদ দিয়ে দেবে। এটা ইতিবাচক দিক। তারপরও আমার মনে হয়, যেহেতু সে অধিনায়কত্ব উপভোগ করে না। সেই জায়গায় তাকে নিয়ে আর চিন্তা করাটা উচিত হবে বলে মনে হয় না।’