হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে রপ্তানি আয়ে। কিছুটা বেড়েছে রেমিট্যান্সও। মূল্যস্ফীতিও ফিরেছে নিম্নমুখী ধারায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সামষ্টিক অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি বেশ ইতিবাচক। তবে গতিশীলতা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
কিছু ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ থাকলেও অর্থনীতির বেশকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বেড়েছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। কিছুটা প্রবৃদ্ধি হয়েছে রপ্তানি আয়েও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৮৮১ কোটি ৩০ লাখ মর্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৮৭৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের কিছু বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হুন্ডি ঠেকানো গেলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।
এদিকে, সদ্য বিদায়ী নভেম্বরে রপ্তানি হয়েছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কম। তবে অক্টোবরের চেয়ে ১০২ কোটি ডলার বেশি। আর অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে দেশ মোট আয় করেছে প্রায় ২ হাজার ২২৩ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, “আরএমজি এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে গত অর্থবছরে ১০.৩ বিলিয়ন ছিল তা এবছর হয়েছে ১১.৬ বিলিয়ন।”
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজাররে পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। একইসঙ্গে পণ্যে বহুমুখী করার কথাও বলছেন তারা।
অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, “ইউরোপিয়ান মার্কেটে যেমন ডিমান্ড রয়েছে ইউএস মার্কেটেও আমার পণ্যের চাহিদা রয়েছে। ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেহেতু চায়না তাদের বাজার ধীরে ধীরে সংকোচন করছে। আর এই সংকোচনের জায়গাটা আমরা স্পষ্ট চিত্রে দেখতে পাই বাংলাদেশ সেই জায়গাটুকু দখলে নিচ্ছে।”
এদিকে, অর্থনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সূচক মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।