ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতিহাস গড়তে শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩ উইকেট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৫২ বার

গত বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল সফরকারী বাংলাদেশে। সেটিই কিউইদের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র জয়। পয়া ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখনো জয়হীন টাইগাররা। চলমান সিলেট টেস্টে সেই আক্ষেপ যে ঘুঁচতে যাচ্ছে, সেটি বলা-ই যায়।

প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩১৭ রানে নিউজিল্যান্ড অলআউট হলে ৭ রানের লিড পায় তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান তুললে ৩৩১ রানের লিড পায় টাইগাররা। ৩৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় কিউইরা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার মাত্র ৩ উইকেট। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের দরকার ২১৯ রান, যেটি প্রায় অসম্ভব।

৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কিউই শিবিরে এদিন প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল। কোনো রান করার আগেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন টম ল্যাথামকে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসনও। ১৯ রানের মাথায় তাকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। আর ৩০ রানের মাথায় হেনরি নিকোলস ফিরলে চূড়ান্ত বিপদে পড়ে টিম সাউদির দল। মিরাজের বলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দৃঢ়তা দেখালেও এদিন তাইজুলের সামনে অসহায়ত্ব দেখান কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ৭৬ বলে ২২ রান করে নবাগত শাহাদাত হোসেন দিপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৬০ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন টম ব্লান্ডেল। তাইজুলের বলে সামনে এগিয়ে খেলতে গিয়ে নুরুল হাসান সোহানের স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। তাইজুল-মিরাজদের পর উইকেট নেওয়ার মিশনে সফল আরেক স্পিনার নাঈম হাসানও। দীর্ঘদেহী এই অফস্পিনারের ভেলকিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। এরপর একপাশ আগলে থাকা ড্যারিয়েল মিচেলের (৩৯*) সঙ্গে জুটি বাঁধেন কাইল জেমিসন। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে জেমিসনকে নিয়ে দলীয় শতক পার করেন মিচেল। তবে ১০২ রানের মাথায় জেমিসন ফিরলে জয়ের সুবাতাস জোরে বইতে থাকে বাংলাদেশের পালে। যদিও শেষ বিকেলে ইশ সোধি দৃঢ়তা দেখানোয় খেলা গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। ৭ উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে কিউইরা।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে সফল তাইজুল ইসলাম। ৭ উইকেটের মধ্যে একাই ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।

আগের দিনের ৩ উইকেট ২১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে নামেন শান্ত ও মুশফিক। আজ ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রান যোগ করেই ফেরেন তিনি। দিনের দ্বিতীয় ওভারে টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে উইকেটেরর পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে ১৯৮ বলে এসেছে ১০৫ রান। এর পর ফেরেন শাহাদাত। তিনি করেন ১৯ বলে ১৮ রান।

২৪৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ২৭৮ রানে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। যাওয়ার আগে ১১৬ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর লেজের ব্যাটারদের নিয়ে শুরু হয় মিরাজের লড়াই। একপ্রান্ত নিজে আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। যদিও মিরাজও দুইবার জীবন পেয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন এজাজ প্যাটেল। যদিও তার ইকোনমি ছিল চারের ওপর, রান দিয়েছেন ১৪৮। দুইটি উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার ইশ সোধি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইতিহাস গড়তে শেষ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩ উইকেট

আপডেট টাইম : ১১:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

গত বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল সফরকারী বাংলাদেশে। সেটিই কিউইদের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র জয়। পয়া ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখনো জয়হীন টাইগাররা। চলমান সিলেট টেস্টে সেই আক্ষেপ যে ঘুঁচতে যাচ্ছে, সেটি বলা-ই যায়।

প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩১৭ রানে নিউজিল্যান্ড অলআউট হলে ৭ রানের লিড পায় তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান তুললে ৩৩১ রানের লিড পায় টাইগাররা। ৩৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় কিউইরা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার মাত্র ৩ উইকেট। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের দরকার ২১৯ রান, যেটি প্রায় অসম্ভব।

৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কিউই শিবিরে এদিন প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল। কোনো রান করার আগেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন টম ল্যাথামকে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসনও। ১৯ রানের মাথায় তাকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। আর ৩০ রানের মাথায় হেনরি নিকোলস ফিরলে চূড়ান্ত বিপদে পড়ে টিম সাউদির দল। মিরাজের বলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দৃঢ়তা দেখালেও এদিন তাইজুলের সামনে অসহায়ত্ব দেখান কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ৭৬ বলে ২২ রান করে নবাগত শাহাদাত হোসেন দিপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৬০ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন টম ব্লান্ডেল। তাইজুলের বলে সামনে এগিয়ে খেলতে গিয়ে নুরুল হাসান সোহানের স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। তাইজুল-মিরাজদের পর উইকেট নেওয়ার মিশনে সফল আরেক স্পিনার নাঈম হাসানও। দীর্ঘদেহী এই অফস্পিনারের ভেলকিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। এরপর একপাশ আগলে থাকা ড্যারিয়েল মিচেলের (৩৯*) সঙ্গে জুটি বাঁধেন কাইল জেমিসন। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে জেমিসনকে নিয়ে দলীয় শতক পার করেন মিচেল। তবে ১০২ রানের মাথায় জেমিসন ফিরলে জয়ের সুবাতাস জোরে বইতে থাকে বাংলাদেশের পালে। যদিও শেষ বিকেলে ইশ সোধি দৃঢ়তা দেখানোয় খেলা গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। ৭ উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে কিউইরা।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে সফল তাইজুল ইসলাম। ৭ উইকেটের মধ্যে একাই ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।

আগের দিনের ৩ উইকেট ২১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট করতে নামেন শান্ত ও মুশফিক। আজ ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রান যোগ করেই ফেরেন তিনি। দিনের দ্বিতীয় ওভারে টিম সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে উইকেটেরর পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে ১৯৮ বলে এসেছে ১০৫ রান। এর পর ফেরেন শাহাদাত। তিনি করেন ১৯ বলে ১৮ রান।

২৪৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ২৭৮ রানে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। যাওয়ার আগে ১১৬ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর লেজের ব্যাটারদের নিয়ে শুরু হয় মিরাজের লড়াই। একপ্রান্ত নিজে আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। যদিও মিরাজও দুইবার জীবন পেয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন এজাজ প্যাটেল। যদিও তার ইকোনমি ছিল চারের ওপর, রান দিয়েছেন ১৪৮। দুইটি উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার ইশ সোধি।