মঙ্গলবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৪৬ ধারা এবং ৫৭ ধারা সংশোধন করে আইনটি যুগোপযোগী করা হবে।
আনিসুল হক বলেন, ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বর্তমানে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব অপরাধ প্রতিরোধে নতুন আইন করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ব্লগার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তবে যারা মতপ্রকাশের নামে অপরাধ সংগঠিত করবে সরকারের অবস্থান তাদের বিরুদ্ধে।
বিশেষ অতিথি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ সালের আগে যেখানে ১০ লাখের কম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৫৭ লাখ। প্রায় ৩০ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সাইবার ওয়ার্ল্ড যত বড় হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি ইস্যুটা ততটা গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করতে হচ্ছে।’
সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ২০০৬ সালে এ আইন করা হয়েছে। তখন তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ছিল এক রকম, এখন তা বেড়েছে বহুগুণে। তথ্যপ্রযুক্তির যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে, তেমনি নেতিবাচক দিকও রয়েছে। মত প্রকাশের নামে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে।
আইসিটি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে সামগ্রিক আইন ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে। কমপক্ষে ১০০ থেকে ১৫০টি আইন পাল্টাতে হবে। কোনো কোনো আইন আছে যা প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। এত পুরনো আইন দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়া সম্ভব নয়। এ আইনগুলো দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।
আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশ এ্যান্ড সাউথ এশিয়ার পরিচালক তাহমিনা রহমানের পরিচালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন আর্টিকেল ১৯ এর নির্বাহী পরিচালক থমাস হুগস, সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জিআই খান পান্না, সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইন কমিশনের সদস্য ড. শাহা আলম, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, গাজী টিভির নিউজ এডিটর অঞ্জন রায় প্রমুখ।
‘আর্টিকেল ১৯’ বিশ্বব্যাপী বাক-স্বাধীনতা ও তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করে আসছে।