ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শেষ, সুবিচার চাইলেন ড. ইউনূস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ৬৫ বার

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ চার আসামির বিরুদ্ধে মামলার প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার তৃতীয় শ্রম আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তী শুনানি জন্য আগামী সোমবার (১৬ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ড. ইউনূস বলেন, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে দেওয়া হয়েছে।

এখন সুবিচার চাই।

আদালত প্রাঙ্গণে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, সব তথ্য প্রমাণ দিয়ে ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন প্রমাণ করতে পেরেছি। তাঁর সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।

এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, আইন অনুযায়ী বিচার হলে পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই যে, এই মামলায় ড. ইউনুসকে শাস্তি দিতে পারে।

এর আগে ৯ নভেম্বর শ্রম আদালতে হাজির হন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান। ওই দিন আত্মপক্ষ সমর্থনের পর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আজ দিন ধার্য করেন শ্রম আদালত।  শ্রম আইন লঙ্ঘনের এ মামলায় এরই মধ্যে চার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।

গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর গত ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী, ২৬ অক্টোবর তৃতীয় সাক্ষী এবং গত ২ নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শেষ, সুবিচার চাইলেন ড. ইউনূস

আপডেট টাইম : ১১:১৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ চার আসামির বিরুদ্ধে মামলার প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার তৃতীয় শ্রম আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তী শুনানি জন্য আগামী সোমবার (১৬ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ড. ইউনূস বলেন, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ আদালতে দেওয়া হয়েছে।

এখন সুবিচার চাই।

আদালত প্রাঙ্গণে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, সব তথ্য প্রমাণ দিয়ে ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন প্রমাণ করতে পেরেছি। তাঁর সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।

এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, আইন অনুযায়ী বিচার হলে পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই যে, এই মামলায় ড. ইউনুসকে শাস্তি দিতে পারে।

এর আগে ৯ নভেম্বর শ্রম আদালতে হাজির হন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান। ওই দিন আত্মপক্ষ সমর্থনের পর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আজ দিন ধার্য করেন শ্রম আদালত।  শ্রম আইন লঙ্ঘনের এ মামলায় এরই মধ্যে চার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।

গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর গত ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী, ২৬ অক্টোবর তৃতীয় সাক্ষী এবং গত ২ নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।