ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরীসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপটারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু এ মামলার আবেদন করেন।
মামলায় আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন— চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাত, এহছান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০০/৫০৬/ ৩০৭/৩৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের আবেদন করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর এক জনসভায় মুজিবুল হক চৌধুরী সকল আসামির উপস্থিতিতে এবং সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন। তিনি পিটার হাসকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং অশালীন মন্তব্য করেন।
যা ৮ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্বন্ধেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা হাজার কোটি টাকার মানহানির শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, এ বিষয়টি তিনি বড় পরিসরে বলতে চান। তা হলো- আমি মনে করি এ রকম সহিংস বক্তব্য (ভায়োলেন্ট রেটোরিক) গভীরভাবে অসহযোগিতামূলক (আনহেল্পফুল)। আমরা আশা করব কূটনীতিকদের বিষয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে নিরাপত্তা দিতে যেকোনো দেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমাদের তো কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তার গুরুত্ব সর্বাধিক।
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বেদান্ত প্যাটেল।
মুশফিক তার কাছে জানতে চান, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পিটানোর হুমকি দিয়েছেন একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পক্ষে তার ভূমিকা রাখার জন্য। কূটনীতিক ও স্টাফরা যে হুমকির সম্মুখীন তার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। তার প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল ওই মন্তব্য করেন।