মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ বিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম, টিসিবি কার্ডধারীর নিকট হতে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায়, ভিডাব্লিউবি চক্রের নতুন কার্ডধারী মহিলাদের নিকট হতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বহিরাগত লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায়, নেত্রকোনা মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন ভুঁইয়াকে গত ৭ নভেম্বর সাময়িক বহিষ্কার দেখিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি-১ শাখা।
এর পরে থেকেই বহিষ্কাকৃত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একেরপর এক দূর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, নকল রশিদের মাধ্যমে নিজ হাতে কর আদায় এবং কর আদায়ের টাকা নিজের কাছে নিয়ে নেওয়া।
ইউপি সচিব মোঃ স্বপন মিয়া বলেন, কর আদায়কারী নাসরিন আক্তারকে দেওয়া সর্ব শেষ দু’টি কর আদায় রশিদ বহি’র হিসাব তার কাছে চাইলে সে জানায়, কর বাবদ আদায় কৃত টাকা চেয়ারম্যান সাহেব তার কাছ থেকে নিয়ে গেছেন এবং চেয়ারম্যান নকল রশিদ দিয়ে নিজেই কর আদায় করছেন। নকল রশিদ বহি দিয়ে কর আদায়ের সত্যতা পেয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে অবগত করেছি।
এ বিষয়ে কর আদায়কারী নাসরিন আক্তার জানান, সর্বশেষ দু’টি রশিদ বহি’র কর আদায়ের ৪২ হাজার টাকার মধ্যে ৪০ হাজার টাকা চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে নিয়েছিলেন। ক্রমান্নয়ে ২৪ হাজার টাকা আমাকে ফেরত দিয়েছে, আরো ১৬ হাজার টাকা উনার কাছে রয়েছে। কিছু দিন যাবৎ চেয়ারম্যানের বানানো রশিদ দিয়ে তিনি নিজেই কর আদায় করছেন। নকল রশিদের টাকার হিসাব আমার কাছে নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, নাসরিনের কাছ থেকে আমি কোনো টাকা-পয়সা নেইনি। নকল রশিদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে রাগান্বিত কন্ঠে ইউপি সচিবকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমি এখন ঢাকায় আছি বাড়িতে আইসালই, সচিব-টচিব সব ঠিক হয়ে যাইবো।