ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিতু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া থেমে না যায় : পরিবারের দাবি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০১৬
  • ৪১০ বার

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমদুা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখরোচক নানা গল্প ছড়ালেও সেসব মানতে রাজি নন মিতুর আত্মীয়-স্বজনরা। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেই দিয়েছেন, মিতু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ভিন্ন খাতে নিতে ব্যস্ত একটি চক্র।

জুলাই মাসের শুরু থেকে দেশে দু’দফা ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর অনেকটা চাপা পড়ে গেছে মিতু হত্যাকাণ্ড। মিতুর পরিবার চায়, তাদের মেয়ে হত্যার বিচার প্রক্রিয়া যেন চাপা না পড়ে যায়।

৫ জুন মিতু হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। পরে এ ঘটনায় বাবুল আক্তার হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তবে বাবুল আক্তারকে হঠাৎ গভীর রাতে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করাকে কেন্দ্র করে মামলার তদন্ত নতুন মোড় নেয়।

যোগাযোগ করা হলে নিহত মিতুর আত্মীয়-স্বজনরা জানান, জঙ্গি সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে এখন অনেক বেশি ব্যস্ত পুলিশ। গুলশান ও কিশোরগঞ্জের ঘটনায় পুরো পুলিশ বিভাগ এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। গণমাধ্যমও এ নিয়ে খবর প্রকাশে ব্যস্ত। কিন্তু নতুন ইস্যুতে যেন এসপি বাবুলের স্ত্রী হত্যার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া থমকে না যায়।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি মোটেও সংবাদপত্রের খবরের উপরে নির্ভরশীল না। কে কী বললো আর লিখলো তা বড় বিষয় নয়। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে মিতু হত্যা মামলার মোটিভ কী বেরিয়ে আসছে সেটাই দেখার বিষয়। প্রথম দিকে এক ধরনের খবর ,মাঝে আরেক ধরনের খবর। কিন্তু এখন তো পুলিশের কোনো বার্তা নেই। সংবাদ মাধ্যমও অন্য ইস্যুতে ব্যস্ত। আর যাই হোক মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।

মিতুর ছোটবোন শায়লা মোশাররফ নিনজা জানান, এই প্রথম কোনো ঈদ গেল ভাগ্না-ভাগ্নির ওদের মাকে ছাড়া। আপু হত্যার পর অনেকে অনেক কথা বলেছে। ২/১ একটা পত্রিকা বাজে ইঙ্গিতও করেছে। এসব কিন্তু মামলার তদন্তকে বাধাগ্রস্থ করে। এখন তো কোনো আওয়াজই নেই কারো।

তদন্ত যাতে সুষ্ঠু হয় সেই দাবি রেখে নিনজা বলেন, ‘জঙ্গি ইস্যুতে যেন আমার বোনের বিচার প্রক্রিয়া থেমে না থাকে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মিতু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া থেমে না যায় : পরিবারের দাবি

আপডেট টাইম : ১১:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০১৬

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমদুা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখরোচক নানা গল্প ছড়ালেও সেসব মানতে রাজি নন মিতুর আত্মীয়-স্বজনরা। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেই দিয়েছেন, মিতু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ভিন্ন খাতে নিতে ব্যস্ত একটি চক্র।

জুলাই মাসের শুরু থেকে দেশে দু’দফা ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর অনেকটা চাপা পড়ে গেছে মিতু হত্যাকাণ্ড। মিতুর পরিবার চায়, তাদের মেয়ে হত্যার বিচার প্রক্রিয়া যেন চাপা না পড়ে যায়।

৫ জুন মিতু হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। পরে এ ঘটনায় বাবুল আক্তার হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তবে বাবুল আক্তারকে হঠাৎ গভীর রাতে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করাকে কেন্দ্র করে মামলার তদন্ত নতুন মোড় নেয়।

যোগাযোগ করা হলে নিহত মিতুর আত্মীয়-স্বজনরা জানান, জঙ্গি সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে এখন অনেক বেশি ব্যস্ত পুলিশ। গুলশান ও কিশোরগঞ্জের ঘটনায় পুরো পুলিশ বিভাগ এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। গণমাধ্যমও এ নিয়ে খবর প্রকাশে ব্যস্ত। কিন্তু নতুন ইস্যুতে যেন এসপি বাবুলের স্ত্রী হত্যার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া থমকে না যায়।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি মোটেও সংবাদপত্রের খবরের উপরে নির্ভরশীল না। কে কী বললো আর লিখলো তা বড় বিষয় নয়। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে মিতু হত্যা মামলার মোটিভ কী বেরিয়ে আসছে সেটাই দেখার বিষয়। প্রথম দিকে এক ধরনের খবর ,মাঝে আরেক ধরনের খবর। কিন্তু এখন তো পুলিশের কোনো বার্তা নেই। সংবাদ মাধ্যমও অন্য ইস্যুতে ব্যস্ত। আর যাই হোক মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।

মিতুর ছোটবোন শায়লা মোশাররফ নিনজা জানান, এই প্রথম কোনো ঈদ গেল ভাগ্না-ভাগ্নির ওদের মাকে ছাড়া। আপু হত্যার পর অনেকে অনেক কথা বলেছে। ২/১ একটা পত্রিকা বাজে ইঙ্গিতও করেছে। এসব কিন্তু মামলার তদন্তকে বাধাগ্রস্থ করে। এখন তো কোনো আওয়াজই নেই কারো।

তদন্ত যাতে সুষ্ঠু হয় সেই দাবি রেখে নিনজা বলেন, ‘জঙ্গি ইস্যুতে যেন আমার বোনের বিচার প্রক্রিয়া থেমে না থাকে।’