সিলেটে যুবদল নেতা নিহতের ঘটনায় বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হরতালের ডাক দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় হরতালের সমর্থনে জিন্দাবাজার এলাকায় মিছিল করেছে যুবদল।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যুবদল কর্মী জিল্লুর রহমান নিহতের জেরে যুবদল বুধবার সিলেটে হরতাল ডেকেছে। আমরা এতে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছি। তিনি হরতালের পাশপাশি বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিও চলমান থাকবে বলে জানান।
মঙ্গলবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বাইক উল্টে আহত হন যুবদল কর্মী জিল্লুর রহমান (৪০)। দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিএনপি ও যুবদল নেতাদের দাবি, আহত হওয়ার পর জিল্লুকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়। নিহত জিল্লুর সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার মদন গৌরী এলাকার এলাই মিয়ার ছেলে ও গোলাপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বিএনপির ডাকা অবরোধ সফলে ১০টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজারে অবস্থান নেন জিল্লু। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলসহ পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরবর্তীতে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় জিল্লুর সঙ্গে থাকা সালাহউদ্দিন গুরুতর আহত হন। সালাহ উদ্দিন দক্ষিণ সিলাম ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ বলেন জিল্লুকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর তার মৃত্যুর খবর এসেছে। জিল্লুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জিল্লুকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর ও মিডিয়া) আজবাহার আলী শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে জিল্লুসহ কয়েকজন লালাবাজার এলাকায় পিকেটিং করছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে দ্রুত পালানোর সময় জিল্লু মোটরসাইকেল একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।