ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, মৃত বেড়ে ১২৬ জুলাই ঘোষণাপত্র’ বিষয়ক কর্মসূচি: কুমিল্লায় হাসনাত, সারজিস যাবেন নরসিংদী নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া রাইফেল খাল পাড় থেকে উদ্ধার বোরো ধানের চারায় বিষ প্রয়োগে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে ৭ দিনব্যাপী জেলাভিত্তিক কর্মসূচি শুরু শর্ষে ও মধুর সমন্বিত চাষে লাভবান সব পক্ষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের একান্ত বৈঠক সীমান্ত পেরিয়ে মৈত্রী ! দিল্লি কি অবশেষে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতে চাইছে মোংলায় ১১ কেজি হরিণের মাংসসহ ৬ চোরাচালানকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

নারায়ণগঞ্জে তৈমূরের ভাই হত্যা ২২ বছর পর সব আসামি খালাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার

নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই ও আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

২২ বছর পর আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কালাম আজাদ জাকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জাকির খানের দুই ছোটভাই জিকু খান, মামুন খান, জাকির খানের সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ। এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান শাহীন মারা গেছেন।

পিপি আবুল কালাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। যিনি খুন হয়েছিলেন তার ভাই তৈমুর আলম খন্দকার সুপ্রীম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের একজন আইনজীবী, নিহতের মেয়েও একজন আইনজীবী। ওনারা নিজেরাও এই মামলাটি তদারকি করেছেন। এখন এই রায়ের বিপরীতে মামলাটির বিষয়ে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, এই মামলায় ৫২ জন সাক্ষীকে তালিকাভুক্ত করা হলেও সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে ২১ জনের। দীর্ঘ সময়ে এ মামলাটি তদন্ত করেছেন অন্তত ৯ জন কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে সাব্বির আলম খন্দকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।

এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট আটজনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে

নারায়ণগঞ্জে তৈমূরের ভাই হত্যা ২২ বছর পর সব আসামি খালাস

আপডেট টাইম : ০৫:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই ও আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

২২ বছর পর আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আবুল কালাম আজাদ জাকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জাকির খানের দুই ছোটভাই জিকু খান, মামুন খান, জাকির খানের সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ। এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান শাহীন মারা গেছেন।

পিপি আবুল কালাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। যিনি খুন হয়েছিলেন তার ভাই তৈমুর আলম খন্দকার সুপ্রীম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের একজন আইনজীবী, নিহতের মেয়েও একজন আইনজীবী। ওনারা নিজেরাও এই মামলাটি তদারকি করেছেন। এখন এই রায়ের বিপরীতে মামলাটির বিষয়ে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, এই মামলায় ৫২ জন সাক্ষীকে তালিকাভুক্ত করা হলেও সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে ২১ জনের। দীর্ঘ সময়ে এ মামলাটি তদন্ত করেছেন অন্তত ৯ জন কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে সাব্বির আলম খন্দকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।

এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট আটজনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।