তাই এই গরমে কৃত্রিম এনার্জি ড্রিংক বর্জন করে পান করতে পারেন ডাবের পানি। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও বেশ কার্যকরী ডাবের পানি। ডাবের পানি রক্তের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে তাই বয়সের ছাপ পড়ে না। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, তাই ডাবের পানিত পরোক্ষভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে দ্রুত।
ত্বকের যত্নেও রয়েছে ডাবের পানির বিশেষ ব্যবহার। যেমন ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে বা দাগ দূর করতেও ব্যবহার করা যাবে ডাবের পানি।
প্রাকৃতিক পরিস্কারক হিসেবে ডাবের পানির সঙ্গে চন্দনগুড়ার পেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
রোদেপোড়া ভাব দূর করতে এক চিমটি কর্পুর, মসুর দাল, শসার রস ও ডাবের পানি মিশিয়ে স্ক্রাবিং করা যেতে পারে। এই মিশ্রণ নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া কালো দাগ কমবে।
স্বাভাবিক ত্বকের প্যাক তৈরি করতে তাজা ডাবের পানিতে চন্দন কাঠ ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তারপর চন্দন কাঠ ঘসে যে পেস্ট তৈরি হবে, তা পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্ট ন্যাচারাল স্কিন ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ডাবের পানির সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে রাখুন। ভালোভাবে মুখের ত্বকে লাগান। আধঘণ্টা পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর হবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্যও ব্যবহার করা যাবে ডাবের পানি। ১০টি কাঠবাদাম ডাবের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের রুক্ষতা কেটে যাবে।