বাংলাদেশে সহজে পাওয়া যায় এমন সবজির মধ্যে ঢেঁড়স একটি। বছরের অধিকাংশ সময়ে বাজারে দেখা মিলে এই সবজিটির। পুষ্টিমানের বিবেচনায় ঢেঁড়সকে বলা হয় ‘নিউট্রিশন হিরো’। তাছাড়া, অনেক রোগেরও প্রাকৃতিক ওষুধ এই সবজিটি।
প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে ৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ১.৫ মিলিগ্রাম লোহা, ৫২ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন, দশমিক শূন্য ৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন, দশমিক ১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, দশমিক ৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ৩ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার, ৭.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮০ মাইক্রো গ্রাম ফোলেট, ০.১ গ্রাম ফ্যাট এবং ক্যালরি সর্বসাকুল্যে ৩০।
কেন খাবেন?
-কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
-ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য এটি দারুণ উপকারী ওষুধ। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
-শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
-অ্যাজমার রোগীদের জন্যও এটি উপকারী।
-কিডনি রক্ষা করে।
-খাবার থেকে গ্লুকোজ সরাসরি শুষে নিয়ে, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়।
কখনও ঢেঁড়স ভাজা, কখনও ঢেঁড়স সেদ্ধ, কখনও আবার সর্ষে ঢেঁড়স। ঢেঁড়সের টকও খান কেউ কেউ। কিন্তু ঢেঁড়সের গুণগত মান বজায় রাখতে হলে, আপনাকে কাঁচাই খেতে হবে। ভাজাভুজি একদম চলবে না।
যেভাবে খাবেন: দুটি ঢেঁড়সের টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। তার আগে অবশ্য ঢেঁড়সগুলো ভালো করে ধুয়ে নেবেন। এক গ্লাস পানিতে সারারাত ঢেঁড়সের টুকরোগুলো ভিজয়ে রেখে দিন।
কখন খাবেন: পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালিপেটে ওই ঢেঁড়সের পানি খেয়ে নিন। এটি খাওয়ার পর, অন্তত ১০মিনিট আর কিছু খাবেন না। প্রাতঃরাশ করুন ১০ মিনিট পরে। প্রথম দিন খেতে একটু অস্বস্তি হলেও পরে অভ্যেস হয়ে যাবে।