রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর পরই আপ্লুত হয়ে পড়েন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ডাগআউট থেকে দলের বাকিরা ছুটে আসছিলেন শেষদিকে লড়তে থাকা ১১ জনের দিকে। কিংস অ্যারেনার গ্যালারিতেও তখন চলছিল জয়োল্লাস। এসব কিছুই মালদ্বীপকে হারানোর পর।
আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচের শেষ দেখায় মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
আজ মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায় বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইপর্বের এ ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বে খেলতে এ ম্যাচে ছিল না জয়ের কোনো বিকল্প। রাকিব হোসেন এবং ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে সেই সমীকরণ মিলিয়েছে বাংলাদেশ। যারপরনাই জয়ের পর এমন উল্লাসে মেতে পুরো বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকা বাংলাদেশ আজ ঘরের মাঠে এগিয়ে যায় ম্যাচের ১১ মিনিটেই। বাঁ প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত এক ডি বক্সে বাড়ান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। সেই বল আলতো টোকায় জালে পাঠিয়ে সমর্থকদের উল্লাসে মাতান রাকিব। প্রথমার্ধে আরও দুটি গোল করতে পারতেন এই ফরোয়ার্ড। তবে দুবারই অবিশ্বাস্যভাবে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
প্রথমার্ধে দারুণ কিছু আক্রমণ সাজায় মালদ্বীপও। তারই ফলশ্রুতিতে গোল পেয়ে যায় অতিথিরা। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে মালদ্বীপ গোল পরিশোধ করে দেয়। হামজা মোহাম্মদের কর্নার থেকে মোটামুটি ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থেকে হেড করে গোল করেন আইসাম ইব্রাহিম।
সমতায় থেকে বিরতিতে গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আবার বাংলাদেশের গোল। এবারের গোলদাতা ফাহিম নিজে। সাদ উদ্দিনের ক্রসে তারিক কাজী শট নেন। গোলকিপার সেই শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দিলেও বল গ্লাভসে আটকাতে পারেননি। ফিরতি বলে ফাহিম গোল করে দলকে ২–১ গোলে এগিয়ে নেন। যেই গোল ধরেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বে উঠলো হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
অবশ্য এত সহজে আসেনি সেই জয়। ম্যাচের শেষের ৩০ মিনিট একজন কম ফুটবলার নিয়ে লড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের। ৫৯ মিনিটে সোহেল রানা দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তারপরও ইতিবাচক ফুটবলই খেলেন ফাহিম-রাকিবরা। সেসময়ও আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন তারা।
এদিকে, যোগ করা সময়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মালদ্বীপের আহনাফ রাশিদ। মালদ্বীপও ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় শেষদিকে আর ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশের রক্ষণ দুর্গ।