চিরশত্রু! সে তো লোকে বলে। অহংকারী! একথাও লোকে বলে। ঈর্ষাপরায়ণ! নিন্দুকদের কথা। কিন্তু ঝিনুক যেমন পুষে রাখে, খোলসের আবরণে মুক্তার সুখ, তেমনি কাঠিন্যের উর্দির আড়ালে তিনি যত্ন করে লালন করেন নরম মন! সেই মন বেঁচে আছে বলেই শত্রুতার ধর্ম ভেঙে, ‘অহং’ বিসর্জন দিয়ে, ঈর্ষার আগুনে জল ঢেলে, আবেগের নতুন সংজ্ঞা লিখলেন। বোঝালেন চিরশত্রুতার জোব্বা পরেও, পরম মিত্র হওয়া যায়! তিনি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
লিওনেল মেসির কাছে রাখলেন আবেগমাখা অনুরোধ। কী লিখলেন? যা পড়তে পড়তে বুকের ভেতর হু হু করে উঠবে অন্তত একবার। যা পড়তে পড়তে গুলিয়ে যাবে তিনি পর্তুগালের না আর্জেন্টিনার! যা পড়তে পড়তে বলতেই হবে, ‘মেসি এবার অন্তত কথা শোনো।’
‘মেসি ফিরে এসো।’ দেশের জার্সি গায়ে মেসি আর খেলবেন না। খবরটা শোনার পর মুষড়ে পড়েছিলেন রোনাল্ডো। মন খারাপের সেই বারবেলা কেমন ছিল? রোনাল্ডোর মুখের প্রতিটি শব্দেই মিলেছে তার প্রমাণ, ‘খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেসি। সমর্থকদের সেটা বুঝতে হবে। ওর অনুরাগীদের সেটা বুঝতে হবে। মানতে হবে। আসলে মেসি হারতে অভ্যস্ত নয়। দ্বিতীয় হতে চায় না সে। মেসিকে একটা কথা বলতে চাই। একটা পেনাল্টি মিস করেছো বলে কী তুমি খারাপ ফুটবলার হয়ে গেলে? না, না। জানো তোমাকে ওভাবে কাঁদতে দেখে, আমার বুকের ভেতরও তীব্র যন্ত্রণা হয়েছে। বিশ্বাস করো, ভালো লাগেনি। এতটুকু ভালো লাগেনি তোমার চোখে জল দেখে। তোমায় ওভাবে কাঁদতে দেখে। আশা করি, তুমি ফিরে আসবে। আবার ফিরে আসবে সাদা-নীল জার্সিতে। কারণ মেসিকে আর্জেন্টিনার দরকার।’
আবেগ না থাকলে, এমন করে ভাবা যায় না! আবেগ না থাকলে, রক্ত-মাংসের মানুষ হওয়া যায় না। আবেগ না থাকলে, মেসির বন্ধু মনে মনে এই দাবিটা রাখা যায় না। আবেগ না থাকলে, সুপারস্টার রোনাল্ডো, এই তকমাও হয়তো বয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। ওয়েবসাইট।