হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর সেই শিরদাঁড়া শক্তভিত্তির ওপর দাঁড় করান নমস্যজন শিক্ষক। আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস। সমাজের এই গুণীদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলসহ প্রথম শ্রেণির মর্যাদার দাবি আজও অপূরণীয়। ধন্যি সমাজ গড়ার কারিগর গুরুকূলের যথার্থ মর্যাদা ফেরানোর দাবি অন্যদের।
রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাস রুম। শিশুদের উদ্দেশ্যে জানতে চেয়েছিলাম- বড় হয়ে তারা কী হতে চায়? ২৪ জনের মধ্যে ১৭ জনের চাওয়া ডাক্তার, ৪ জন ইঞ্জিনিয়ার আর ৩ জন হতে চায় শিক্ষক।
কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ। কথাবার্তায় তিনি বলেন, আর্থিক অসুবিধা আর মর্যাদার প্রশ্নে বিশেষ এ পেশাটির প্রতি শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগেরই অনীহা।
কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পেয়ে বাইচান্স শিক্ষক- এদের একটি অংশ মান নষ্ট করেছে শিক্ষা কাঠামোর। এতো এতো অসঙ্গতির পরও সত্যিকারের মানুষ গড়তে চান একটি শ্রেণি। দু:সময়ে এমন সুন্দর স্বপ্নের কথাও জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক।
শিক্ষকেরা বলছেন, জীবন-মান উন্নয়নে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দেয়ার কথা থাকলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতির মতে, সব পেশায় সুপার গ্রেড দেয়া হলেও শিক্ষকতা পেশায় আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন, স্বতন্ত্র বেতন স্কেল নয়। শিক্ষকদের জন্য দরকার আলাদা প্রণোদনা।
তাঁর অভিমত, শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নতি ঘটলে উন্নত হবে জাতি ও সমাজ।