একসঙ্গে চলব একসঙ্গে দৌড়াব

আমন্ত্রিত শ্রোতারা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিলনায়তনে, কোটি কোটি দর্শক টেলিভিশন সেটের সামনে মুগ্ধ-বিস্ময়ে শুনলেন তার ভাষণ। ছন্দ না হারিয়েই প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে, কখনও গুরুগাম্ভীর্যে, কখনও কৌতুকভরে, কখনও বা কবিতার উদৃব্দতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের হৃদয়ের কথাই বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪০ ঘণ্টার সফর শেষে বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘জনবক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন অনেক তরুণ-তরুণী। তার দীর্ঘ বক্তৃতাকালে শ্রোতারা বারবার বিপুল করতালিতে নরেন্দ্র মোদিকে উৎসাহিত করেন।

নরেন্দ্র মোদির প্রেরণাদায়ক ভাষণে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সমস্যা, স্থল সীমান্ত চুক্তি, পানি বণ্টন, বিশেষ করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তার নানা ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর বিস্ময়কর অবদান, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কথাও উঠে আসে তার আবেগময় ভাষণে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী উচ্চকণ্ঠে বলেন, আমরা একসঙ্গে চলব, একসঙ্গে দৌড়াব।

সাধারণত হিন্দি বা ইংরেজিতে বক্তব্য দিয়ে থাকেন গুজরাটের এই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সালাম জানিয়ে বাংলায় বক্তব্য শুরু করে মুচকি হেসে শ্রোতাদের কাছে তিনি জানতে চান, তার বাংলা কেমন? টানা এক ঘণ্টা বক্তৃতা করেন তিনি। তার ভাষণ তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় অনুবাদ করে প্রচার করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য নরেন্দ্র মোদিকে মঞ্চে নিয়ে যান। তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য। মোদির বক্তব্যে উঠে আসে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও সালমা খাতুনের নামও। উঠে আসে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের দ্বিতীয় অবস্থানের কথা। এ দেশে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার কথা বলতে গিয়ে এভারেস্টজয়ী দুই নারী নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরিনের নামও উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও স্পিকার পদে নারীর আসীন থাকার কথাও বলেন তিনি। এ ছাড়া সীমান্তে হত্যা, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, পানি চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মোদি।

মোদি বাংলাদেশের আতিথিয়তার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যেভাবে আমাকে স্বাগত ও সম্মান জানিয়েছেন, তা নরেন্দ্র মোদি নামের এক ব্যক্তির নয়, সোয়াশ’ কোটি ভারতবাসীর সম্মান। দু’দিনের সফরের পর শুধু এশিয়া নয়, সমগ্র বিশ্ব খুব সূক্ষ্মভাবে ময়নাতদন্ত করবে। কেউ মাপকাঠি নিয়ে দেখবে, কী পেলাম আর কী দিলাম। কিন্তু যদি একটি বাক্য আমাকে বলতে হয়, আমি বলব, লোকেরা মনে করতেন আমরা খুব পাশাপাশি আছি। বিশ্বকে বলতে চাই, পাশাপাশি এবং একইসঙ্গে আছি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, সূর্য এখানে আগে ওঠে, এর পর আলো আমাদের (ভারত) ওখানে যায়। এখানে যত আলোই হোক, আলো আমাদের ওখানেও যায়। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যগুলোকে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে হবে। বাল্যবিবাহ, শিশুমৃত্যু এসব বিষয়ে শিখতে হবে। আমাদের দেশের সৈন্যরা বাংলাদেশের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। এর চেয়ে বেশি গৌরব আর কী হতে পারে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছোট ব্যাপার নয়। বাংলাদেশে বারবার রাজনৈতিক সংকট এসেছে। কঠোর লড়াই ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য যে ভিত্তি তৈরি করছেন, তা আগামী দিনে উজ্জ্বল বাংলাদেশ গঠনে সাহায্য করবে।

মোদি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতে আমরা রেল, সড়ক, উড়োজাহাজ, এমনকি সমুদ্রপথেও যোগাযোগ গড়ে তুলব। আগে ভারতে কিছু পাঠাতে হলে সিঙ্গাপুর হয়ে পাঠাতে হতো। মোদি বলেন, কত বড় পরিবর্তন আসছে, তা আমরা দেখতে পাই। অস্ত্রশক্তি, জনশক্তি যা-ই থাক, একা কিছু করা যায় না। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া বিশ্ব চলতে পারে না। ভারত ও বাংলাদেশের লক্ষ্য এক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেটা চান, আমিও সেটা চাই।

নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার স্থল সীমান্ত চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের খবরের কাগজে দেখলাম, অনেকে বলেছেন এটা বার্লিনের দেয়াল ভেঙে পড়ার মতো। অন্য দেশের হলে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হতো। আমরা তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশ বলে এটা নিয়ে সে রকম হৈচৈ হবে না। গরিব হলেও আমাদের একসঙ্গে পথচলা দেখে সারা দুনিয়া বলবে, এরা বিকাশের পথে রাস্তা তৈরি করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পেঁৗছাক, এটাই ছিল স্বপ্ন। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশের বিকাশ। আমাদের চিন্তায় ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা, যার কারণে আমরা সেদিন আমাদের সমস্যার দিকে তাকাইনি।

সীমান্ত চুক্তির বিষয়ে মোদি বলেন, ‘খুব কম লোক এটি চিন্তা করেছে যে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি হবে। এটি জমির সমাধান নয়, এটি সেই চুক্তি যা মনকে যুক্ত করেছে। বিশ্বে সব যুদ্ধই জমির জন্য হয়েছে। বুদ্ধ (গৌতম বুদ্ধ) ছাড়া ভারতও অসম্ভব। যেখানে বুদ্ধ রয়েছেন, সেখানে যুদ্ধ হতে পারে না। তারা জমির জন্য যুদ্ধ করতে পারে, আমরা নই।’

বাংলাদেশকে ৫০০ নয়, এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান মোদি। সৌরবিদ্যুতে আস্থা রেখে তিনি বলেন, একসময় সূর্য সমস্যার কারণ ছিল; কিন্তু এখন সূর্য শক্তিতে পরিণত হয়েছে।মোদি বলেন, বাংলাদেশ সংঘর্ষ থেকে বাইরে এসে বিকাশের পথে যাত্রা শুরু করেছে। এখানে রাজনৈতিক সংকট বারবার এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। সব সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ও দারুণ কিছু অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রশংসা করে মোদি বলেন, লোকের মনঃসংযোগ এখানকার বস্ত্রশিল্পের দিকে। চীন সফরকালে সে দেশের একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও আমাকে বলেছেন, আপনারা শতকোটি মানুষের দেশ। কী করছেন আপনি? আপনার পাশেই ১৭ কোটির একটি দেশ বস্ত্রে পৃথিবীতে দুই নম্বরে রয়েছে।

তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা তুলে ধরে মোদি বলেন, ভারতের ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫-এর নিচে, বাংলাদেশেরও ৬৫ শতাংশ ৩৫-এর নিচে। এ কারণেই আমরা শুভশক্তিতে ভরা দেশ, আমাদের স্বপ্ন তারুণ্যের শক্তিতে ভরা। এর সঙ্গে বিকাশের জন্য রয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব। তাই বাংলাদেশের বিকাশযাত্রা কখনও থমকে দাঁড়াবে না।

তরুণদের প্রসঙ্গে মোদি বলেন, তরুণদের স্বপ্ন রয়েছে। তারা বিশ্বকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়। তারা শিক্ষার জন্য স্বপ্ন দেখছে। এই সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা দেশকে জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা দিয়ে ভরিয়ে তুলেছে।

সার্ক দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে মোদি বলেন, সার্কভুক্ত পাঁচটি দেশ সাগরের সঙ্গে যুক্ত, যা ব্লু ইকোনমির বড় ক্ষেত্র হতে পারে। এ ছাড়া আমাদের সার্কভুক্ত দেশগুলোর যোগাযোগের মাধ্যমে সংযোগ তৈরির বড় সম্ভাবনা রয়েছে। সবাই রাজি না হলেও বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, ভারত যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও অর্থনীতিতে পরিবর্তন এসেছিল এই যোগাযোগের মাধ্যমে। এভাবে সার্ক দেশগুলো এগিয়ে যাবে। রেল, সড়ক, বিমান ও সমুদ্রপথে আমাদের যোগাযোগ তৈরি হবে। সমগ্র বিশ্ব একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল। একা কেউ কিছু করতে পারে না।

সমঝোতা চুক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যে ২২টি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আসন্ন ভবিষ্যৎকে পরিবর্তন করবে। আমরা বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবো। এ জন্য বাংলাদেশের নেতৃত্বকে অভিনন্দন।

নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে মোদি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বাংলাদেশ যে কাজ করেছে, তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। এখানকার প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য সবাই নারী। এটা দেখে এখানকার পুরুষদের হিংসা হয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়াতেও নারী নেতৃত্বের জয়জয়কার।

বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুুক্তির বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন বাংলাদেশে এসেছি তিস্তার ব্যাপারে আলোচনা হবেই। আমরা গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রকে নিয়ে একসঙ্গে চলেছি, সমাধান করেছি। তিনি বলেন, পাখি, বাতাস, জল_ তিনটার কোনো ভিসা লাগে না। পানি রাজনৈতিক কোনো বিষয় হতে পারে না; মানবিক মূল্যবোধের বিষয়। এর সমাধান সেভাবে করতে হবে। আমরা একজোট হয়ে কাজ করব এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বিশ্বাস ক্ষুণ্ন হলে চলবে না। বিশ্বাস অটুট রাখতে হবে।

সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে, পৃথিবীর সব জোট এক হয়ে তা কীভাবে মোকাবেলা করবে বুঝতে পারছে না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নারী হয়েও সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্সের কথা বলছেন। এ জন্য তাকে অভিনন্দন। সন্ত্রাসবাদের কোনো সীমানা নেই, অঞ্চল নেই, আদর্শ নেই, মূল্যবোধ নেই। ভারত চলি্লশ বছর ধরে এর মোকাবেলা করছে। অনেক নিরপরাধ মানুষের জীবন চলে গেছে। এসব করে সন্ত্রাসবাদীরা কী পেয়েছে? এ সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হয়ে লড়াই করা প্রয়োজন। একজোট হয়ে জঙ্গিবাদকে শেষ করে দেব এবং মানবতাকে রক্ষা করে যাব।

মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদারদের অত্যাচারের খবরে নিজের শরীরের রক্ত গরম হয়ে যেত বলে অকপটে স্বীকার করেন মোদি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি যুবক ছিলাম, সে সময় খবরের কাগজে পড়তাম বাংলাদেশের লড়াই; অত্যাচার সম্পর্কে জানতাম। আপনাদের যেমন রক্ত গরম হয়ে যেত, আমারও যেত। জীবনে প্রথমবার গ্রাম ছেড়ে তাই দিলি্লতে চলে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সত্যাগ্রহে অংশ নিয়েছি। তার পর দীর্ঘদিন রাজনীতি করিনি।

মোদি আরও বলেন, আমাদের সেনাদের চরিত্র দেখুন, একটি দেশের ৯৫ হাজার সেনাকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিল। একটি বিমান হাইজ্যাক করে কত কিছু দাবি করা হয়। ভাবতে পারেন, সেদিন ৯৫ হাজার সেনাকে আমরা কাছে নিয়েও তাদের দেশে ফিরিয়ে দিয়েছি। আমাদের তো কোনো কিছু চাওয়ার ছিল না।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভূয়সী প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, দেরিতে খেলা শুরু করলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এখন আর ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ভারতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসার ঠিক আগের দিন রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া এ বক্তৃতায় তিনি বলেন, ভারতও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে হালকাভাবে নেওয়ার সাহস পায় না। ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে আগামীতে আরও ভালো খেলবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

স্বাগত ভাষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রচেষ্টায় সমৃৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, মোদি ক্যারিশম্যাটিক লিডার। ভারতীয় অর্থায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি ও নৃত্যকলা বিভাগ খোলা হবে বলে উপাচার্য জানান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর