হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিতুমীর কলেজে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালিত “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থের পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ বরকত মিলনায়তনে সকাল ১০ ঘটিকায় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।
সাংস্কৃতিক পর্বে তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়, যারা তিতুমীরের শুদ্ধস্বর কবিতা মঞ্চসহ অন্যন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফেরদৌস আরা বেগম। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আলেয়া আকতার।
তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়ল মন্ত্রী মহোদয়কে দ্রুত ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীনিবাস চালু করার জন্য অনুরোধ করেন।
তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি তিতুমীর কলেজের উন্নয়নের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরেন। সেইসাথে বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থ পাঠ প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা লিখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছিলেন তাদের মধ্যে একজন উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। শিক্ষার্থীদের যে বইগুলো পড়া উচিত তার মধ্যে অনন্য বঙ্গবন্ধু রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী।তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু জানা মানেই বাংলাদেশকে জানা। বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমরা আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে পারবো, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস পাবো। বঙ্গবন্ধু যদি রাজনীতিবিদ না হয়ে একজন লেখন হতেন তাহলে তিনি সর্বজন গৃহীত একজন কবি হতেন। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল স্মার্ট নাগরিক হবার আহ্বান জানান। সেইসাথে গ্রন্থ প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের বলেন পুরস্কার পেয়েই থেমে থাকলে চলবে না আমাদের বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালমা বেগম এবং অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো মোস্তফা মাহবুব রাসেল।