আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় অংশ নেয়া সাতজনের নাম এসেছে ১৬৪ ধারায় আদালতে দেয়া ওয়াসিম ও আনোয়ারের জবানবন্দিতে। হত্যার মূল অভিযুক্তরা হলেন- মুসা, নবী, রাশেদ, শাজাহান ও কালুসহ অন্যান্য আসামিরা যেন দেশ ছাড়তে না পারে, সেজন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ।
গত ৫ জুনের হত্যাকাণ্ডে এরা সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা। তাদের নাম-ঠিকানা এবং ছবি দিয়ে দেশের সব বিমান ও স্থল বন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এমন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
মিতু হত্যার পুরো চিত্র এখন তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। ভিডিও ফুটেজের পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃত দু’ আসামী ওয়াসিম এবং আনোয়ারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ায় বাকি আসামীদের শনাক্তে সুবিধা হয়েছে।এর মধ্যে কিলিং মিশনের অন্যতম দু’ আসামী মুসা এবং নবী’র ছবিসহ যাবতীয় তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তার সাথে রেকিতে থাকা রাশেদ, শাহাজাহান এবং কালু’র তথ্যও বাদ যায়নি। এ অবস্থায় পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে তাদের বিদেশ পালানো ঠেকানোর প্রক্রিয়া।
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খুনিদের ব্যাপারে যতটুকু তথ্য পেয়েছি ততটুকু দেশের সবগুলো সীমান্তের চেকপোস্টে দিয়েছি। সেই সাথে তাদের আমরা ছবিও পাঠিয়েছে, যাতে কোনো আসামি দেশ ত্যাগ না করতে পারে।’
ওয়াসিম ও আনোয়ারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী’র মাধ্যমে বাকি আসামীদের তথ্য পেয়ে যাওয়ায় অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ভোলা ও মুনীরের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন কৌশল নিয়েছে তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশ। সরাসরি জবানবন্দী না নিয়ে তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ৫ জুন নগরীর জি ই সি মোড়ে সংগঠিত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে চার জনকে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং মোটর সাইকেল।