এসপি বাবুল আক্তারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় যুগান্তর। বাবুল আক্তারের বরাত দিয়ে সূত্রটি জানায়, বাবুল আক্তার তাকে জানিয়েছেন, তিনি যদি পরকীয়া করে থাকেন তাহলে সেই মেয়ের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হোক।
পরকীয়া করে থাকলে নিশ্চয় তিনি ওই মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। কোথাও না কোথাও দেখা করেছেন। কেউ না কেউ তা দেখেও থাকতে পারেন। তাহলে সেসব প্রমাণ হাজির করা হোক। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, একসঙ্গে বহু চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্তের অভিজ্ঞতা আছে তার।
একটি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার তদন্তে অন্যতম সোর্স ছিলেন মুসা। তাই
তিনি যদি তার স্ত্রী মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা করেই থাকেন তাহলে তার মতো একজন পুলিশ অফিসার কেন সোর্স মুসাকেই ব্যবহার করবেন?
এছাড়া পরকীয়ার কারণে যদি স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় তাহলে তাকে হত্যা করতে হবে কেন? সংসার না করলেই তো পারতেন। সর্বোপরি এ দাম্পত্য কলহের বিষয় গোপন থাকার কোনো সুযোগ নেই। কেউ না জানলেও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অবশ্যই জানতেন। কিন্তু তারা কি এসব কখনও শুনেছেন?
এসপি বাবুল যুগান্তরের সংশ্লিষ্ট মাধ্যমকে আরও বলেন, আসলে তার বিরুদ্ধে সেই ২০০৭ সাল থেকেই ষড়যন্ত্র চলে আসছে। তখনই তাকে একটি মহল শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তারা তা পারেনি।
ওই চক্রের সঙ্গে এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রভাবশালী ব্যক্তি। যারা এসব নোংরা ও বানোয়োট কথা ছড়াচ্ছে। এসপি বাবুল আক্তারের প্রশ্ন- যারা প্রথমে বলেছিল মিতুর পরকীয়ার কারণে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তারা ওই ছেলের নাম বলুক, তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তো অনেক তথ্য জানার কথা। কিন্তু তারা তা করছে না কেন?
সূত্রটি জানায়, এরাই বাবুল আক্তারকে ওপর মহলের কথা বলে চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু বাবুল আক্তার মনে করেন, তিনি শতভাগ পরিষ্কার আছেন। সূত্র : যুগান্তর