ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হাঁসকুড়ি মৈধাম শহীদ কদ্দুছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১০৭ বার

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ ২০২৩ সালের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ নেত্রকোণা মদন উপজেলার হাঁকুড়ি মৈধাম শহীদ কদ্দুছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ২০২২ সালেও শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলো।

১৯৭৩ সালে উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের হাঁসকুড়ি-মৈধাম সীমান্তে ২নং ওয়ার্ডে মৈধাম গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১৭২ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ০৭ জন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক এ.টি.এম কামরুজ্জামান খান (রফিক)।

বিদ্যালয়ে প্রবেশ দ্বারে একপাশে আছে ফুলের বাগান এবং ওপর পাশে রয়েছে ফলজ গাছের বাগান। এর কয়েক কদম সামনে গেলেই চোখে পড়বে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য খেলাধূলা সামগ্রী। স্কুলের সামনে সিঁড়ির পাশেই স্থাপিত আছে একটি শহীদ মিনার। ছেলে-মেয়েদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা শৌচাগার। ভবনের ভিতরে ও বাহিরে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে হেন্ড ওয়াশের সু-ব্যবস্থা।

কোলাহল মুক্ত পরিবেশে অবস্থিত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ এখনো অর্ধেক অংশ মাটি ভরাট না হওয়ায় ফুটবল, ক্রিকেট এ জাতীয় খেলাধূলা করতে পারছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। দু’তলা ভবন বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের উপর তলায় জরাজীর্ণ শ্রেণি কক্ষে পড়াশোনা করছে ছাত্র-ছাত্রীরা। ভবনের ছাদের প্লাস্টার প্রায়ই খসে পড়ছে। প্রতিকূল পরিবেশেও উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হাঁসকুড়ি মৈধাম শহীদ কদ্দুছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, আমি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানে যখন যোগদান করি বিদ্যালয়ে পরিবেশ আরো নাজুক ছিলো। বর্ষাকালে সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হতো।

আমি যোগদানের পর স্কুলের মাঠের অর্ধেক অংশ মাটি ভরাট করিয়েছি। এখনো অর্ধেক অংশ বাকী আছে। নাম মাত্র একটি শহীদ মিনার আছে। স্কুলের এক পাশে একটি মানসম্মত শহীদ মিনার তৈরি প্রয়োজন।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একটি নতুন বিদ্যালয় ভবন অতীব জরুরী। আশা করছি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি গোচরে আসবে।

চানগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম তালুকদার বলেন, শত প্রতিকূল পরিবেশেও হাঁসকুড়ি মৈধাম শহীদ কদ্দুছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরপর দু’বার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হওয়ায় আমি গর্ববোধ করছি। পাশাপাশি জরাজীর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর সুপারিশ করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হাঁসকুড়ি মৈধাম শহীদ কদ্দুছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ ২০২৩ সালের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ নেত্রকোণা মদন উপজেলার হাঁকুড়ি মৈধাম শহীদ কদ্দুছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ২০২২ সালেও শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলো।

১৯৭৩ সালে উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের হাঁসকুড়ি-মৈধাম সীমান্তে ২নং ওয়ার্ডে মৈধাম গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১৭২ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ০৭ জন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক এ.টি.এম কামরুজ্জামান খান (রফিক)।

বিদ্যালয়ে প্রবেশ দ্বারে একপাশে আছে ফুলের বাগান এবং ওপর পাশে রয়েছে ফলজ গাছের বাগান। এর কয়েক কদম সামনে গেলেই চোখে পড়বে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য খেলাধূলা সামগ্রী। স্কুলের সামনে সিঁড়ির পাশেই স্থাপিত আছে একটি শহীদ মিনার। ছেলে-মেয়েদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা শৌচাগার। ভবনের ভিতরে ও বাহিরে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে হেন্ড ওয়াশের সু-ব্যবস্থা।

কোলাহল মুক্ত পরিবেশে অবস্থিত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ এখনো অর্ধেক অংশ মাটি ভরাট না হওয়ায় ফুটবল, ক্রিকেট এ জাতীয় খেলাধূলা করতে পারছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। দু’তলা ভবন বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের উপর তলায় জরাজীর্ণ শ্রেণি কক্ষে পড়াশোনা করছে ছাত্র-ছাত্রীরা। ভবনের ছাদের প্লাস্টার প্রায়ই খসে পড়ছে। প্রতিকূল পরিবেশেও উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হাঁসকুড়ি মৈধাম শহীদ কদ্দুছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, আমি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানে যখন যোগদান করি বিদ্যালয়ে পরিবেশ আরো নাজুক ছিলো। বর্ষাকালে সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হতো।

আমি যোগদানের পর স্কুলের মাঠের অর্ধেক অংশ মাটি ভরাট করিয়েছি। এখনো অর্ধেক অংশ বাকী আছে। নাম মাত্র একটি শহীদ মিনার আছে। স্কুলের এক পাশে একটি মানসম্মত শহীদ মিনার তৈরি প্রয়োজন।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একটি নতুন বিদ্যালয় ভবন অতীব জরুরী। আশা করছি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি গোচরে আসবে।

চানগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম তালুকদার বলেন, শত প্রতিকূল পরিবেশেও হাঁসকুড়ি মৈধাম শহীদ কদ্দুছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরপর দু’বার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হওয়ায় আমি গর্ববোধ করছি। পাশাপাশি জরাজীর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর সুপারিশ করছি।