ফতুল্লায় রোববার দ্বিতীয় ইনিংসে মন্থর ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখাল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। চতুর্থ ও শেষ দিনে তারা ৫৬ ওভারে চার উইকেটে ৬৯ রান করলে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। ৫৫ রানের মধ্যে মধ্যাঞ্চল চার উইকেট হারালে শেষ ২৩.৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান করে তারা। রকিবুল হাসান ১২০ বলে ১৭* এবং মোশাররফ হোসেন ৭৪ বলে ৮* রান করেন। আবদুর রাজ্জাক ২৫ ওভারে ১৫ মেডেনে তিনটি উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর রহমান নেন এক উইকেট। এর আগে চতুর্থ দিনে আট উইকেটে ৫৩৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল ৫৪১ রানে অলআউট হয় দক্ষিণাঞ্চল। মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসে রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি ৪১৩ রান করে।
এদিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে পূর্বাঞ্চল ৪০.২ ওভারে চার উইকেটে ১০৬ রান করলে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। সাদমান ইসলাম ৪৮ ও নাফীস ইকবাল ২৩ রান করেন। সানজামুল ইসলাম তিনটি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে অলক কাপালীর ডাবল সেঞ্চুরি ও আসিফ আহমেদের সেঞ্চুরিতে ৪৭৩ রান করে পূর্বাঞ্চল। জুনায়েদের ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংসে উত্তরাঞ্চল করে ৩৮৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল ও ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল
মধ্যাঞ্চল ৪১৩ ও ৬৯/৪, ৫৬ ওভারে (রকিবুল হাসান ১৭*, মেহরাব হোসেন জুনিয়র ২০, মোশাররফ হোসেন ৮। মুস্তাফিজুর ১/১৪, আবদুর রাজ্জাক ৩/২০)।
দক্ষিণাঞ্চল ৫৪১/১০, ১৩৩.৪ ওভারে (শাহরিয়ার নাফীস ১৬১, এনামুল হক ৮৩, মোসাদ্দেক হোসেন ১৫৩, সোহাগ গাজী ১০৬। দেওয়ান সাব্বির ২/৬২, মোশাররফ হোসেন ৭/১৭৩)।
ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোশাররফ হোসেন (মধ্যাঞ্চল)
ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও বিসিবি উত্তরাঞ্চল
পূর্বাঞ্চল ৪৭৩ ও ১০৬/৪, ৪০.২ ওভারে (সাদমান ইসলাম ৪৮, নাফীস ইকবাল ২৩, অলক কাপালী ১৭*। সাকলাইন সজীব ১/৩৪, সানজামুল ইসলাম ৩/৩৯)।
উত্তরাঞ্চল ৩৮৪/১০, ১০৭.৫ ওভারে (জুনায়েদ সিদ্দিকী ১৯৩, নাসির হোসেন ৩২। নাজমুল অপু ৩/১০০, অলক কাপালী ২/৩৪)।
ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : অলক কাপালী (পূর্বাঞ্চল)।