পার্বত্য অঞ্চলের জমির মৌজার সীমানা সঠিকভাবে নির্ধারণ ও তা নিজ দায়িত্বে রাখা, সব জমির রেকর্ড সংরক্ষণ এবং মৌজা হেডম্যানদের দেওয়া প্রত্যয়নপত্র উপযুক্ত ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। ভূমি সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের পাশাপাশি হেডম্যানদের জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
আজ বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বান্দরবানের হেডম্যানদের (মৌজা প্রধান) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ নির্দেশ দেন।
এসময় পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তিন পার্বত্য জেলায় মৌজাবাসীর উন্নয়নের জন্য হেডম্যানরা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে নানা ধরনের ভূমি সমস্যা নিরসনে হেডম্যানদের আরও আন্তরিক হতে হবে। মন্ত্রী হেডম্যানদের স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্তরিকতার মাধ্যমে যথাযথ সেবা প্রদানের নির্দেশ দেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পার্বত্য এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার ক্ষেত্রে হেডম্যানদের (মৌজা প্রধান) অনেক দায়িত্ব রয়েছে। নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন এবং এলাকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রশাসনকে জানানোর জন্য হেডম্যানদের দায়িত্বশীল হতে হবে। এলাকায় নিজস্ব সংস্কৃতিতে বিচার করার পাশাপাশি বড় ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে। ভূমি সমস্যা যাতে এলাকায় কমে যায়, সেজন্য প্রকৃত ক্রেতা বিক্রেতা যাচাই এবং প্রকৃত ব্যক্তির হাতে হেডম্যানদের রির্পোট তুলে দিতে হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মনজুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ফজলুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরুপ রতন সিংহ, রাজীব কুমার বিশ্বাস, সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নার্গিস সুলতানা, হেডম্যান কারবারি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হ্লাথোইহ্রী মারমা, সাধারণ সম্পাদক উনিহ্লাসহ বান্দরবানের সাত উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মৌজার হেডম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।