গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: নাজিম উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দায়িত্ব গ্রহনের ঘোষনা দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ ডা: নাজিম উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে ৪ জনট্রাস্টি ছিলেন। এর মধ্যে ডা: জাফরুল্লা চোধুরী ও সাদেক খান অন্তধানদ করেছেন এবং অপর ট্রাস্ট্রি দীর্ঘ ৩২ বছর যাবৎ স্নায়ুরোগে শষ্যাশায়ী রয়েছেন। বর্তমানে একমাত্র সক্ষম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি হিসাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র রক্ষার জন্য নিজেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ডা: জাফরুল্লা চৌধুরীর মৃত্যুর পর বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাফুন্নেসার সাম্প্রতিক কিছু অসংলগ্ন এবং বিতর্তিক কর্মকান্ডে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৫হাজার কর্মীর জীবন জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল কর্মী ও ডাক্তারদের বেতন বন্ধ করে দিয়ে সকলের জীবন যাপন ব্যবস্থা দূরবস্থা,সংকটপূর্ন এবং মানবেতর ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ঢেলে দিয়েছে এবং উক্ত কলেজের ২৭তম ব্যাচে ৬০জন শিক্ষার্থীর অনুমোদন স্বত্তেও ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে ৫০জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না পাওয়ায় কারনে শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধোপরাধী সাকা চৌধুরীর জামিন সনদ জালিয়াতির অভিযুক্ত আইনজীবি ব্যারিস্টার ফকরুলকে গণস্বাস্থ্যের প্রধান আইনজীবি হিসাবে বহাল রেখে বিভিন্ন নিয়ম বর্হির্ভূত কাজ করে যাচ্ছেন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফান্ড থেকে টাকা-পয়সা অযাচিতভাবে খরচ করছেন। এ সকল কারনে একমাত্র বৈধ প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি হিসাবে আমি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন্নেসাকে অব্যহতি দিয়ে আমি নিজে দায়িত্ব গ্রহন করলাম। এ সময় গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: গিয়াস উদ্দিন,নির্বাহী কর্মকর্তা ডা:গোলম রহমানসহ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।