কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি, প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার, বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ও সমাজসেবক বাদল রহমান (৬১) এর লাশ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে রবিবার (৯ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টার দিকে শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার বেপারি বাড়ির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাদল রহমান জেলার নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের ধীরুয়াইল গ্রামের মৃত মুখলেছুর রহমান খান বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকার বেগম রোকেয়া সড়কের বাসিন্দা।এদিকে তার মৃত্যুকে ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে শহরের চর শোলাকিয়ার কানিকাটা এলাকায় ব্যাপারী বাড়ির পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, এ মৃত্যুটি স্বাভাবিক অস্বাভাবিক দুটি বিষয়ই মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গতকাল শনিবার (৮ জুলাই) জেলা শহরে অবস্থিত তার নিজ বাসা থেকে রাত ৮টায় বের হন বাদল রহমান। পরে আজ রবিবার (৯ জুলাই) সকালে পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
এদিকে দুপুরে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে বাদল রহমানের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে লাশ খরমপট্টি এলাকার বেগম রোকেয়া সড়কের বাসায় আনা হয়।
বাদ মাগরিব শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে শোলাকিয়া বাগে জান্নাত কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হবে।