ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমছে না পেঁয়াজ ও আদার ঝাঁজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • ৯১ বার

বেশ কিছু দিনই পেঁয়াজ বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে দামের ঝাঁজ ছড়াচ্ছে আদাও। কৃষিমন্ত্রীর পেঁয়াজ আমদানির ইঙ্গিতেও তেমন একটা প্রভাব নেই বাজারে। অতি প্রয়োজনীয় এই দুই মসলার দামের ভারে অসহায় ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির উত্তাপ সব কিছুতে ছড়িয়ে পড়ছে।

শনিবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৩ থেকে ৭৫ টাকায়, পাইকারিতে যা ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি আদার পাইকারি দর ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা।

এ ছাড়া ডিম, চাল, মুগডালসহ একাধিক পণ্যের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা জানান, ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি কেনা যায় না।

বাজারে আলুর দাম আরও বেড়ে এখন প্রতি কেজি হয়েছে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল প্রতি কেজি ৩৫ টাকা। আলুর এ মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে ঈদের পর থেকে। ঈদের পরপর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা।

দাম বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের অজুহাত, ডলার ও এলসি জটিলতার কারণে পণ্যগুলোর দাম বাড়তি।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আশিক মালদার জানান, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো পণ্য বাজারে নেই। প্রতিনিয়ত হু হু করে বাড়ছে সবকিছুর দাম। এদিকে আদা ও পেঁয়াজের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে পেঁয়াজ আর আদা ছাড়াই রান্না করতে হবে।

মসলা ব্যবসায়ী মোমিন জানান, সকল ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে এমন একটা পণ্য নেই যে দাম বাড়েনি। এর মধ্যে পেঁয়াজ ও আদার দাম সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনে হয়তো আদা ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হবে।

স্বস্থি নেই রসুনের দামেও। পাইকারিতে পণ্যটির দাম প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা। মাসের ব্যবধানে এই পণ্যটি কিনতে ভোক্তাদের কেজিতে বাড়তি গুনতে হচ্ছে ৩০ টাকা।

এদিকে গেল শুক্রবার রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কয়েক দিন আগে সরকারের কর্মকর্তারা বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে জানান, তারা বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। দাম যদি এভাবেই বাড়তে থাকে তাহলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। তার পরও প্রতিদিন হু হু করে দাম বাড়লেও এখন পর্যন্ত আমদানির অনুমতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কমছে না পেঁয়াজ ও আদার ঝাঁজ

আপডেট টাইম : ১০:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

বেশ কিছু দিনই পেঁয়াজ বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে দামের ঝাঁজ ছড়াচ্ছে আদাও। কৃষিমন্ত্রীর পেঁয়াজ আমদানির ইঙ্গিতেও তেমন একটা প্রভাব নেই বাজারে। অতি প্রয়োজনীয় এই দুই মসলার দামের ভারে অসহায় ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির উত্তাপ সব কিছুতে ছড়িয়ে পড়ছে।

শনিবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৩ থেকে ৭৫ টাকায়, পাইকারিতে যা ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। মানভেদে প্রতি কেজি আদার পাইকারি দর ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা।

এ ছাড়া ডিম, চাল, মুগডালসহ একাধিক পণ্যের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা জানান, ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি কেনা যায় না।

বাজারে আলুর দাম আরও বেড়ে এখন প্রতি কেজি হয়েছে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল প্রতি কেজি ৩৫ টাকা। আলুর এ মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে ঈদের পর থেকে। ঈদের পরপর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা।

দাম বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের অজুহাত, ডলার ও এলসি জটিলতার কারণে পণ্যগুলোর দাম বাড়তি।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আশিক মালদার জানান, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো পণ্য বাজারে নেই। প্রতিনিয়ত হু হু করে বাড়ছে সবকিছুর দাম। এদিকে আদা ও পেঁয়াজের দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে পেঁয়াজ আর আদা ছাড়াই রান্না করতে হবে।

মসলা ব্যবসায়ী মোমিন জানান, সকল ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে এমন একটা পণ্য নেই যে দাম বাড়েনি। এর মধ্যে পেঁয়াজ ও আদার দাম সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনে হয়তো আদা ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে হবে।

স্বস্থি নেই রসুনের দামেও। পাইকারিতে পণ্যটির দাম প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা। মাসের ব্যবধানে এই পণ্যটি কিনতে ভোক্তাদের কেজিতে বাড়তি গুনতে হচ্ছে ৩০ টাকা।

এদিকে গেল শুক্রবার রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কয়েক দিন আগে সরকারের কর্মকর্তারা বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে জানান, তারা বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। দাম যদি এভাবেই বাড়তে থাকে তাহলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। তার পরও প্রতিদিন হু হু করে দাম বাড়লেও এখন পর্যন্ত আমদানির অনুমতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।