রাজধানীবাসীর ভোগান্তি বিবেচনায় কমছে গরুর হাট

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটের কারণে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ হয় এমন স্থান থেকে পশুর হাট সরানো হয়েছে। কমানো হয়েছে হাটের সংখ্যা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে এবার ৯টি করে মোট ১৮টি কোরবানির পশুর হাট বসানোর প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে গাবতলী ও সারুলিয়া হাটগুলো স্থায়ী।

এরই মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন হাটের টেন্ডার চূড়ান্ত করেছে।
ডিএসসিসি এলাকায় হাটগুলো হলো- মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনালসংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। এর বাইরে সারুলিয়া স্থায়ী হাটটিতে পশু ক্রয়-বিক্রয় হবে।

ডিএনসিসি এলাকার হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ পর্যন্ত এলাকার খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদনগর) পশুর হাট, কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফিট সড়কসংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল ও যমুনা হাউজিং কম্পানি ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীনের খালি জায়গা এবং মোহাম্মদপুর বছিলায় ৪০ ফুট রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গা।

৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচপুরা বেপারীপাড়ার রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকা ও তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল খেলার মাঠ। তবে তেজগাঁও মাঠটিতে এবার হাট না বসানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গাবতলী (স্থায়ী) হাটে প্রতি বছরের মতো পশু বেচাকেনা থাকছে। এ ছাড়া এবারও অনলাইনে পশু বেচাকেনা হবে উত্তরে।

সেই লক্ষ্যে চতুর্থবারের মতো তারা কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট চালু করবে। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাটে ই-ক্যাব এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে পারবেন।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে কোরবানির পশুর হাট মানেই অজ্ঞান পার্টি, চুরি-ছিনতাইয়ের ভয় ছিল। করোনা এবং ডিজিটাইজেশনের কথা চিন্তা করে যখন আমরা ডিজিটাল হাটের দিকে ঝুঁকলাম, তখন অনেকেই অনেক রকম কথা বলেছে। এখন কিন্তু আর কেউ কিছু বলে না।

কারণ তারাও এর সুফল পাঁচ্ছে।’
মেয়র বলেন, ‘এবারও নির্ধারিত হাটের পাশাপাশি ডিজিটাল হাটে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। আমরা নগরবাসীর নিরাপত্তা এবং ঝুঁকি কমাতে যেমন ডিজিটালে জোর দিচ্ছি, একইভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে পশু নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের কথাও ভাবছি। এজন্য গতবারের তুলনায় এবার ক্যাশলেস লেনদেনের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হবে। যাতে মানুষ কোনো ধরনের বিপদে না পড়ে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন বলেন, ‘এবার আমরা প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি করে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিএসসিসি এলাকায় এবার একটি স্থায়ীসহ মোট ৯টি পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর