গ্যাস খাতে ভর্তুকি সীমিত রাখার জন্য সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, মে মাস থেকে শুধু বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম যথাক্রমে ১৪.৭৫ টাকা/ঘনমিটার এবং ৩০.৭৫ টাকা/ঘনমিটার থেকে প্রতি ঘনমিটারে ০.৭৫ টাকা বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের দাম ১৫.৫০ টাকা/ঘনমিটার এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ৩১.৫০ টাকা/ঘনমিটারে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকবে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশে গ্যাস ব্যবহারকারীদের ৮টি শ্রেণি রয়েছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরো বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য অপরিবর্তিত আছে।