মোবাইল ফোন কিংবা টেলিফোনে কথা শুরুতে ‘হ্যালো’ শব্দটা বলা হয়। হ্যালো শব্দের অর্থ জানুন আর নাই বা জানুন, সবাই হ্যালো বলেই দূরালাপনী যন্ত্রে কথা কথার ফুলঝুড়ি ফোটান। কিন্তু অনেকেই হ্যালো শব্দের মানে জানেন না। এমনকি হ্যালো কোথা থেকে, কবে থেকে প্রচলন শুরু হলো তাও জানেন না।
হ্যালোর মানে জানার আগে মোবাইল ফোনের অর্থ জানুন। মোবাইলের অর্থ ‘ভ্রাম্যমান’ আর ফোনের অর্থ ‘যোগাযোগ’। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অর্থ ‘ভ্রাম্যমান যোগাযোগ’ বা যার মাধ্যমে ভ্রাম্যমান অবস্থায় যোগাযোগ করা যায়।
টেলিফোনের আবিষ্কারক হলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। ফোন কী জিনিন তা তার হাত ধরেই পৃথিবীর সকল মানুষ চিনেছিলেন। প্রথম দিকে ফোন গ্রাহাম বেল আবিষ্কার করেছিলেন, তারপর থেকে আজ পর্যন্ত সেই ফোনের চেহারা ও অনেক বদল ঘটেছে। ধীরে ধীরে সবার হাতে এসেছে মোবাইল।
মোবাইলে বার্তালাপের সময়ই এই ‘হ্যালো’ শব্দটি প্রত্যেকেই ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই এই হ্যালো শব্দের উৎপত্তি নিয়ে অবগত নন। জানা যায়, গ্রাহাম বেলের সবচেয়ে কাছের বান্ধবীর নাম ছিল মার্গারেট হালো তার নাম অনুসারেই নাকি ‘হ্যালো’ শব্দের উৎপত্তি।
গ্রাহাম বেল তার এই বান্দবীকে ভালোবেসে ‘হেলো’ বলেই ডাকতেন। সেই ‘হেলো’ থেকে তা হয় ‘হ্যালো’। অর্থাৎ প্রেমিকাকে ভালোবেসে ডাকা নামই পরবর্তীতে বিশ্ববিখ্যাত হয়ে ওঠে। এখনও সেই হ্যালোই ফোনের উত্তরের একমাত্র শব্দ হিসেবেই রয়ে গেছে। তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারলেন যে ফোন করলে উল্টোদিক থেকে ‘হ্যালো’ শব্দটি কোথা থেকে এলো।