ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়েত ৪ মাসে ১১ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • ৯৩ বার

চলতি ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি অভিবাসী নারী-পুরুষকে ফেরত পাঠিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কুয়েত। রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে কুয়েতের দৈনিক আল-রাই জানিয়েছে, ফেরত পাঠানো এই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রধানত আবাসন ও চাকরি সংক্রান্ত আইন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অনেক অভিবাসীর বিরুদ্ধে কুয়েতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

চলতি বছরের শুরু থেকে আইনভঙ্গকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কুয়েতের সরকার। সেই অভিযানের জেরেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে এই অভিবাসীদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদেন গড়ে ৯২ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে এসব অভিবাসী মধ্যে কোন কোন দেশের কতজন নাগরিক আছেন— সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

প্রসঙ্গত,কুয়েতের উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ তালাল আল খালেদ এবং ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আনোয়ার আল বারজাসের নির্দেশে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আইনভঙ্গকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা আল-রাইকে জানান, শিগগিরই এই অভিযান শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই।

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েতের আয়তন মাত্র ১৭ হাজার ৮১৮ বর্গকিলোমিটার। তবে তেলসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় দেশ কুয়েত।

এই আকর্ষণের পড়েছে দেশটির জনসংখ্যার ওপরেও। কুয়েতের মোট জনসংখ্যা বর্তমানে ৪০ লাখের কিছু বেশি। এই জনসষ্টির মধ্যে মাত্র কুয়েতির সংখ্যা মাত্র ১৩ লাখ। বাকি ২৭ লাখ হচ্ছেন বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যাওয়া অভিবাসীরা।

দেশীদের চেয়ে অভিবাসীদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে কুয়েতের সরকার। এ পরিস্থিতিতে গত জানুয়ারি মাসে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আল নাওয়াফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে অবৈধভাবে বসবাসকারী ও আইন লঙ্ঘণকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়েত ৪ মাসে ১১ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে

আপডেট টাইম : ০১:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

চলতি ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি অভিবাসী নারী-পুরুষকে ফেরত পাঠিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কুয়েত। রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে কুয়েতের দৈনিক আল-রাই জানিয়েছে, ফেরত পাঠানো এই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রধানত আবাসন ও চাকরি সংক্রান্ত আইন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অনেক অভিবাসীর বিরুদ্ধে কুয়েতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

চলতি বছরের শুরু থেকে আইনভঙ্গকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে কুয়েতের সরকার। সেই অভিযানের জেরেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে এই অভিবাসীদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদেন গড়ে ৯২ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে এসব অভিবাসী মধ্যে কোন কোন দেশের কতজন নাগরিক আছেন— সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

প্রসঙ্গত,কুয়েতের উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ তালাল আল খালেদ এবং ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আনোয়ার আল বারজাসের নির্দেশে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আইনভঙ্গকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা আল-রাইকে জানান, শিগগিরই এই অভিযান শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই।

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েতের আয়তন মাত্র ১৭ হাজার ৮১৮ বর্গকিলোমিটার। তবে তেলসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় দেশ কুয়েত।

এই আকর্ষণের পড়েছে দেশটির জনসংখ্যার ওপরেও। কুয়েতের মোট জনসংখ্যা বর্তমানে ৪০ লাখের কিছু বেশি। এই জনসষ্টির মধ্যে মাত্র কুয়েতির সংখ্যা মাত্র ১৩ লাখ। বাকি ২৭ লাখ হচ্ছেন বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যাওয়া অভিবাসীরা।

দেশীদের চেয়ে অভিবাসীদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে কুয়েতের সরকার। এ পরিস্থিতিতে গত জানুয়ারি মাসে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আল নাওয়াফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে অবৈধভাবে বসবাসকারী ও আইন লঙ্ঘণকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ দেন।