ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ৯৪ বার

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে তাকে পরবর্তী দুই বছর ফুটবল সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ১২ লাখ টাকা (১০ হাজার সুইস ফ্রা) জরিমানা করা হয়েছে সোহাগকে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

এর আগে অনুদানের অর্থ দিয়ে বাফুফের কেনাকাটায় গরমিলের অভিযোগে ফিফা বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ও দুই অর্থ কর্মকর্তাকে শোকজ করে। ফিফার ক্রয়নীতি বলছে, যেকোনো কিছু কিনতে হলে নিতে হবে অন্তত তিনটি দরপত্র। এরপর সর্বনিম্ন দরদাতা কাজের দায়িত্ব পাবে। বাফুফেও সেটাই করেছে। কিন্তু ক্রয় রশিদসহ বাকি দুই কোটেশনে গরমিল পেয়েছে ফিফার অডিট দল।

পরবর্তীতে আজ সন্ধ্যায় ফিফার ইন্ডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটির বিচারিক চেম্বার সেই অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বাফুফে সম্পাদক সোহাগের বিরুদ্ধে অনুদানের অর্থ নিয়ে মিথ্যা ও ভুয়া নথি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি দুই বছরের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড থেকে সোহাগকে নিষিদ্ধ এবং ১২ লাখ টাকা জরিমানার কথা জানায়।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্ত চলাকালে আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে বেশকিছু প্রমাণ বিচারিক চেম্বারের হাতে এসেছে। প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তারা সেসব নথি ভালোভাবে পরীক্ষা করেছে এবং তার ওপর চেম্বার সন্তুষ্ট। এরপর বাফুফে সম্পাদক সোহাগের বিরুদ্ধে ফিফার ২০২০ সালের কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি সাধারণ নীতিমালার ১৩ নম্বর, দায়িত্ব ও নৈতিকতার ১৫ নম্বর এবং জালিয়াতি ও মিথ্যা বিষয়ক নীতিমালার ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদটি ভঙ্গ করেছেন।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পরবর্তী বছর (২০০৯) থেকে পেশাদার সাধারণ সম্পাদক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সংস্থাটি। আল মুসাব্বির সাদী পামেলের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আবু নাইম সোহাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক বছর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে পরিচালনার পর ২০১৩ সাল থেকে তিনি সাধারণ সম্পাদকের পূর্ণ দায়িত্ব পান। বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক হলেও সোহাগ ফেডারেশনের নীতি নির্ধারণ, বাস্তবায়নসহ সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা

আপডেট টাইম : ০৯:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে তাকে পরবর্তী দুই বছর ফুটবল সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ১২ লাখ টাকা (১০ হাজার সুইস ফ্রা) জরিমানা করা হয়েছে সোহাগকে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

এর আগে অনুদানের অর্থ দিয়ে বাফুফের কেনাকাটায় গরমিলের অভিযোগে ফিফা বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ও দুই অর্থ কর্মকর্তাকে শোকজ করে। ফিফার ক্রয়নীতি বলছে, যেকোনো কিছু কিনতে হলে নিতে হবে অন্তত তিনটি দরপত্র। এরপর সর্বনিম্ন দরদাতা কাজের দায়িত্ব পাবে। বাফুফেও সেটাই করেছে। কিন্তু ক্রয় রশিদসহ বাকি দুই কোটেশনে গরমিল পেয়েছে ফিফার অডিট দল।

পরবর্তীতে আজ সন্ধ্যায় ফিফার ইন্ডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটির বিচারিক চেম্বার সেই অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বাফুফে সম্পাদক সোহাগের বিরুদ্ধে অনুদানের অর্থ নিয়ে মিথ্যা ও ভুয়া নথি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি দুই বছরের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড থেকে সোহাগকে নিষিদ্ধ এবং ১২ লাখ টাকা জরিমানার কথা জানায়।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্ত চলাকালে আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে বেশকিছু প্রমাণ বিচারিক চেম্বারের হাতে এসেছে। প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তারা সেসব নথি ভালোভাবে পরীক্ষা করেছে এবং তার ওপর চেম্বার সন্তুষ্ট। এরপর বাফুফে সম্পাদক সোহাগের বিরুদ্ধে ফিফার ২০২০ সালের কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি সাধারণ নীতিমালার ১৩ নম্বর, দায়িত্ব ও নৈতিকতার ১৫ নম্বর এবং জালিয়াতি ও মিথ্যা বিষয়ক নীতিমালার ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদটি ভঙ্গ করেছেন।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পরবর্তী বছর (২০০৯) থেকে পেশাদার সাধারণ সম্পাদক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সংস্থাটি। আল মুসাব্বির সাদী পামেলের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আবু নাইম সোহাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক বছর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে পরিচালনার পর ২০১৩ সাল থেকে তিনি সাধারণ সম্পাদকের পূর্ণ দায়িত্ব পান। বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক হলেও সোহাগ ফেডারেশনের নীতি নির্ধারণ, বাস্তবায়নসহ সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন।