ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেমন হতে পারে ‘আইফোন ১৫ প্রো’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৩৪ বার

আইফোন প্রতি বছর সবচেয়ে প্রত্যাশিত স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে একটি। একটি গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস হিসেবে পুরো বিশ্ব এটি দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। এই কৌতুহলের কারণে সাধারণত ডিভাইসটি বাজারে আসার আগেই এর সম্পর্কে অনেক কিছুই প্রকাশিত হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মত এবারও ঘটল একই ঘটনা।

আইফোন ১৫ প্রো একটি রাউন্ডার এজ ডিজাইনসহ একটি টাইটানিয়াম ফ্রেমের সাথে আসবে। এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় ফোনটিকে হাতে ধরে রাখতে আরও সহজ ও আরামদায়ক করে তুলবে। থাকবে ইউএসবি-সি চার্জার পোর্ট। এতে ক্যাবলের মাধ্যমে, প্রতি সেকেন্ডে ৪০ জিবি পর্যন্ত ডেটা ট্রান্সফার করা যাবে।

এতে সেন্সরের আকার বাড়তে পারে। যে কারণে ক্যামেরা মডিউলের পুরুত্ব বাড়বে। এটাও বলা হচ্ছে যে নতুন ফোনের ক্যামেরার আকার আইফোন ১৪ এর এর তুলনায় দ্বিগুণ বড় হতে পারে। আইফোন ১৫ তে গ্রাহকরা হ্যাপটিক বোতাম দেখতে পাবেন অর্থাৎ ফোনে ফিজিক্যাল বোতাম পাবেন না, স্পর্শের মাধ্যমে ফোনে কমান্ড দিতে পারবেন। এতে আপনি ১ দশমিক ৫৫ এমএম বেজেল দেখতে পাবেন।

সলিড-স্টেট পাওয়ার ও ভলিউম বাটনগুলো দেখতে ফিজিক্যাল বাটনের মতোই, চাপ দিলে ফিজিক্যাল বাটনের মতোই অনুভূত হবে।

ধারণা করা হচ্ছে ক্যামেরায় বিপ্লব ঘটিয়ে বাজারে আসতে পারে আইফোন ১৫। এর ফলে আগের চেয়ে ভালো কোয়ালিটির ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচারের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের টেলি-ফটো ক্যামেরার জন্য সংযুক্ত করা হতে পারে পেরিস্কোপ লেন্স সিস্টেম। এছাড়াও মডেলটিতে সিক্স এক্স অপটিক্যাল জুম করা যাবে।

আইফোন ১৫ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সে, অ্যাপলের পরবর্তী প্রজন্মের এ-১৭ চিপ ব্যবহার হতে পারে। বাকি প্রিমিয়াম মডেল দুটিতে থাকতে পারে, ১৪ সিরিজে ব্যবহার হওয়া এ-১৬ চিপসেট।

৩ ন্যানোমিটারের নতুন চিপ, ফোনের কর্মক্ষমতা ও ব্যাটারির আয়ু উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করবে৷ দ্রুত কাজ করার পাশাপাশি, ডিভাইস থাকবে ঠান্ডা। বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে ৩০ শতাংশ।

ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়বে আইফোনের পরবর্তী সংস্করণের দামের ওপর। আগের তুলনায় প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে নতুন মূল্য হতে পারে ১ হাজার ২৯৯ মার্কিন ডলার। তবে অ্যাপল এর প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেছেন, দাম বৃদ্ধি তাদের বিক্রিতে কোন প্রভাব ফেলবে না। একই ক্যাটাগরির ফোনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম ফোনটি কিনতে, ভোক্তারা আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতেও রাজি আছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যেমন হতে পারে ‘আইফোন ১৫ প্রো’

আপডেট টাইম : ১০:১৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

আইফোন প্রতি বছর সবচেয়ে প্রত্যাশিত স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে একটি। একটি গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস হিসেবে পুরো বিশ্ব এটি দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। এই কৌতুহলের কারণে সাধারণত ডিভাইসটি বাজারে আসার আগেই এর সম্পর্কে অনেক কিছুই প্রকাশিত হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মত এবারও ঘটল একই ঘটনা।

আইফোন ১৫ প্রো একটি রাউন্ডার এজ ডিজাইনসহ একটি টাইটানিয়াম ফ্রেমের সাথে আসবে। এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় ফোনটিকে হাতে ধরে রাখতে আরও সহজ ও আরামদায়ক করে তুলবে। থাকবে ইউএসবি-সি চার্জার পোর্ট। এতে ক্যাবলের মাধ্যমে, প্রতি সেকেন্ডে ৪০ জিবি পর্যন্ত ডেটা ট্রান্সফার করা যাবে।

এতে সেন্সরের আকার বাড়তে পারে। যে কারণে ক্যামেরা মডিউলের পুরুত্ব বাড়বে। এটাও বলা হচ্ছে যে নতুন ফোনের ক্যামেরার আকার আইফোন ১৪ এর এর তুলনায় দ্বিগুণ বড় হতে পারে। আইফোন ১৫ তে গ্রাহকরা হ্যাপটিক বোতাম দেখতে পাবেন অর্থাৎ ফোনে ফিজিক্যাল বোতাম পাবেন না, স্পর্শের মাধ্যমে ফোনে কমান্ড দিতে পারবেন। এতে আপনি ১ দশমিক ৫৫ এমএম বেজেল দেখতে পাবেন।

সলিড-স্টেট পাওয়ার ও ভলিউম বাটনগুলো দেখতে ফিজিক্যাল বাটনের মতোই, চাপ দিলে ফিজিক্যাল বাটনের মতোই অনুভূত হবে।

ধারণা করা হচ্ছে ক্যামেরায় বিপ্লব ঘটিয়ে বাজারে আসতে পারে আইফোন ১৫। এর ফলে আগের চেয়ে ভালো কোয়ালিটির ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচারের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের টেলি-ফটো ক্যামেরার জন্য সংযুক্ত করা হতে পারে পেরিস্কোপ লেন্স সিস্টেম। এছাড়াও মডেলটিতে সিক্স এক্স অপটিক্যাল জুম করা যাবে।

আইফোন ১৫ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সে, অ্যাপলের পরবর্তী প্রজন্মের এ-১৭ চিপ ব্যবহার হতে পারে। বাকি প্রিমিয়াম মডেল দুটিতে থাকতে পারে, ১৪ সিরিজে ব্যবহার হওয়া এ-১৬ চিপসেট।

৩ ন্যানোমিটারের নতুন চিপ, ফোনের কর্মক্ষমতা ও ব্যাটারির আয়ু উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করবে৷ দ্রুত কাজ করার পাশাপাশি, ডিভাইস থাকবে ঠান্ডা। বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে ৩০ শতাংশ।

ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়বে আইফোনের পরবর্তী সংস্করণের দামের ওপর। আগের তুলনায় প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে নতুন মূল্য হতে পারে ১ হাজার ২৯৯ মার্কিন ডলার। তবে অ্যাপল এর প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেছেন, দাম বৃদ্ধি তাদের বিক্রিতে কোন প্রভাব ফেলবে না। একই ক্যাটাগরির ফোনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম ফোনটি কিনতে, ভোক্তারা আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতেও রাজি আছেন।