ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পল্লীবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত ইসলাপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের জনজীবন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩
  • ১০৯ বার

যে দুর্গম চরাঞ্চলে একসময় পায়ে হেঁটে যাতায়াত করাও ছিল কষ্টের কাজ, সেই চরে এখন পল্লী বিদ্যুতের সারি সারি খুঁটি। অন্ধকার নেমে এলে জ্বলে ওঠে বৈদ্যুতিক বাতির আলো। সেই বাতির আলোয় এখন আলোকিত জামালপুরের ইসলামপুরের দুর্গম চরাঞ্চল।

জানা যায়, ২০২২ সালের শুরু দিকে ইসলামপুর উপজেলার চার ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়। সেই সময় যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ৮৯ কিলোমিটার এলাকায় ২ হাজার ৮৮৮টি সংযোগ প্রদান করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এরপর থেকেই পল্লী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে বদলে যেতে শুরু করে দুর্গম চরাঞ্চলের জনজীবন। এক বছরের ব্যবধানে সেই চার ইউনিয়নে এখন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। সরাসরি বিদ্যুতের সেবা পাচ্ছেন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

সাপধরী ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কোনদিন চিন্তাও করিনি আমাদের এখানে বিদ্যুৎ আসবে। বিদ্যুৎ আসার আগে চিন্তা করতাম একটা মোবাইল কিনলে চার্জ দিব কীভাবে। আর এখন আমাদের সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন।’

পশ্চিম মন্ডলপাড়া এলাকার কৃষক কবির বলেন, ‘বিদ্যুৎ আসার পর ফ্রিজ কিনেছি। আমার ঘরে ৪টা ফ্যান ও ৪টা বাতি জ্বলছে।’

কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সবাই আগে ডিজেল দিয়ে সেচ পাম্প চালাত। এতে খরচ বেশি হতো। এখন বিদ্যুতের সেচ পাম্পের জন্য বোরো চাষের খরচ কমে গেছে।’

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইসলামপুর জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আলীবর্দী খান সুজন বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সব সময় গ্রাহকদের সেবায় কাজ করে থাকে। তবে ইসলামপুরে একটি শ্রেণি রয়েছে যাদের কারণে গ্রাহকদের অনেক অর্থ অপচয় হয় এবং গ্রাহকরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের কাছে একটি অনুরোধ থাকবে, যে কোনো প্রয়োজনে আপনারা ওই শ্রেণির লোকজনের দ্বারস্থ না হয়ে সরাসরি পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পল্লীবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত ইসলাপুরের দূর্গম চরাঞ্চলের জনজীবন

আপডেট টাইম : ১০:১৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

যে দুর্গম চরাঞ্চলে একসময় পায়ে হেঁটে যাতায়াত করাও ছিল কষ্টের কাজ, সেই চরে এখন পল্লী বিদ্যুতের সারি সারি খুঁটি। অন্ধকার নেমে এলে জ্বলে ওঠে বৈদ্যুতিক বাতির আলো। সেই বাতির আলোয় এখন আলোকিত জামালপুরের ইসলামপুরের দুর্গম চরাঞ্চল।

জানা যায়, ২০২২ সালের শুরু দিকে ইসলামপুর উপজেলার চার ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়। সেই সময় যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ৮৯ কিলোমিটার এলাকায় ২ হাজার ৮৮৮টি সংযোগ প্রদান করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এরপর থেকেই পল্লী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে বদলে যেতে শুরু করে দুর্গম চরাঞ্চলের জনজীবন। এক বছরের ব্যবধানে সেই চার ইউনিয়নে এখন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। সরাসরি বিদ্যুতের সেবা পাচ্ছেন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

সাপধরী ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কোনদিন চিন্তাও করিনি আমাদের এখানে বিদ্যুৎ আসবে। বিদ্যুৎ আসার আগে চিন্তা করতাম একটা মোবাইল কিনলে চার্জ দিব কীভাবে। আর এখন আমাদের সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন।’

পশ্চিম মন্ডলপাড়া এলাকার কৃষক কবির বলেন, ‘বিদ্যুৎ আসার পর ফ্রিজ কিনেছি। আমার ঘরে ৪টা ফ্যান ও ৪টা বাতি জ্বলছে।’

কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সবাই আগে ডিজেল দিয়ে সেচ পাম্প চালাত। এতে খরচ বেশি হতো। এখন বিদ্যুতের সেচ পাম্পের জন্য বোরো চাষের খরচ কমে গেছে।’

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইসলামপুর জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আলীবর্দী খান সুজন বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সব সময় গ্রাহকদের সেবায় কাজ করে থাকে। তবে ইসলামপুরে একটি শ্রেণি রয়েছে যাদের কারণে গ্রাহকদের অনেক অর্থ অপচয় হয় এবং গ্রাহকরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের কাছে একটি অনুরোধ থাকবে, যে কোনো প্রয়োজনে আপনারা ওই শ্রেণির লোকজনের দ্বারস্থ না হয়ে সরাসরি পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন।’