জলবায়ু পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্ট দুর্যোগের কারণে বাস্তুচূত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য জলবায়ু অর্থায়নসহ বৈশ্বিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন শুক্রবার জাতিসংঘের সদর দফতরে আয়োজিত অভিবাসন বিষয়ক ২০২৩ আন্তর্জাতিক সংলাপের সময় আইওএম আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় বক্তৃতাকালে এই আহ্বান জানান।
আজ এখানে প্রাপ্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি চালু হওয়া বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ বাস্তবায়নে আর্থিক সহয়তা বাড়ানোর জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রগুলির বাধ্যবাধকতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামতের জন্য অনুরোধ করে সম্প্রতি গৃহীত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলুশন জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের বাস্তুচ্যূতির মধ্যে যোগসূত্রকে স্বীকৃতি দেয়।’
মাসুদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে- অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা এবং ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি’ চালু করার জন্য অ্যাকশন পয়েন্ট।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কক্সবাজারে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রায়ণ প্রকল্প’ হাতে নিয়েছেন।
এর আগে, পররাষ্ট্র সচিব জাতিসংঘ সদর দফতরে শান্তি অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে ল্যাক্রোইক্স মর্যাদা, আন্তরিকতা ও উচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে শীর্ষ সেনা ও পুলিশ অবদানকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সেবা দেওয়ার জন্য
বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
মাসুদ ইউএসজিকে পিস অপারেশন ডিপার্টমেন্টে বাংলাদেশ থেকে আরও অফিসার নিয়োগের অনুরোধ করেন।
বিনিময়ে ইউএসজি এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে। বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।