ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে ব্রি ধান-২৮ এ ছত্রাকের আক্রমন, ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে পাঁচশো-ছয়শত হেক্টর জমি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ৯৮ বার
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলায় ব্রি ধান- ২৮ এ দেখা দিয়েছে  ব্লাস্টার (ছত্রাক জনিত) রোগ। হাসি নেই কৃষকের মুখে।  পঁচে গেছে ধান গাছের থোড়। শুকিয়ে গেছে পাতা। এ রোগের ফলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাঁচশো-ছয়শত হেক্টর জমি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৭ হাজর ৩৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরোধান রোপন করা হয়। তার মধ্যে ২ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৮ রোপন হয়েছে। যদিও কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের ব্রি ধান-২৮ এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৮৮ চাষের পরমর্শ দিয়েছিলেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা অন্যান্য সময়ের তুলনায় হাওরে বেশি সময় দিচ্ছেন। ধান গাছে ছত্রাক জনিত রোগ দেখা দেওয়ার পর থেকে ঘন ঘন হাওরে যাচ্ছেন। কৃষকের সাথে কথা বলছে। তারা কৃষকদের ছত্রাক দমনে ছত্রাক নাশক (ব্লাস্টিন, নাটিভো, নাভারা) ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রি ধান-২৮ এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। ব্রি ধান-২৮ এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৮৮ এবং ব্রি ধান-২৯ এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৮৯ বা ব্রি ধান-৯২ চাষ করা উচিত। ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান-২৮ এর তুলনায় ৩-৪ দিন আগে কাটা যায়। এই ধানের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি এবং ফলনও বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রি ধান ২৮ এর ফলন শুধু যে ছত্রাক জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। ঠান্ডা জনিত কারনে অথবা অতিরিক্ত স্যার প্রয়োগের ফলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্য বলেন, কৃষক’রা যেনো যেকোনো ধরণের সমস্যার বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অথবা আমার সাথে সরাসরি কথা বলে। আমারা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করবো।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে ব্রি ধান-২৮ এ ছত্রাকের আক্রমন, ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে পাঁচশো-ছয়শত হেক্টর জমি

আপডেট টাইম : ০৩:১৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলায় ব্রি ধান- ২৮ এ দেখা দিয়েছে  ব্লাস্টার (ছত্রাক জনিত) রোগ। হাসি নেই কৃষকের মুখে।  পঁচে গেছে ধান গাছের থোড়। শুকিয়ে গেছে পাতা। এ রোগের ফলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাঁচশো-ছয়শত হেক্টর জমি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৭ হাজর ৩৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরোধান রোপন করা হয়। তার মধ্যে ২ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৮ রোপন হয়েছে। যদিও কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের ব্রি ধান-২৮ এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৮৮ চাষের পরমর্শ দিয়েছিলেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা অন্যান্য সময়ের তুলনায় হাওরে বেশি সময় দিচ্ছেন। ধান গাছে ছত্রাক জনিত রোগ দেখা দেওয়ার পর থেকে ঘন ঘন হাওরে যাচ্ছেন। কৃষকের সাথে কথা বলছে। তারা কৃষকদের ছত্রাক দমনে ছত্রাক নাশক (ব্লাস্টিন, নাটিভো, নাভারা) ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রি ধান-২৮ এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। ব্রি ধান-২৮ এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৮৮ এবং ব্রি ধান-২৯ এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৮৯ বা ব্রি ধান-৯২ চাষ করা উচিত। ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান-২৮ এর তুলনায় ৩-৪ দিন আগে কাটা যায়। এই ধানের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি এবং ফলনও বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রি ধান ২৮ এর ফলন শুধু যে ছত্রাক জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। ঠান্ডা জনিত কারনে অথবা অতিরিক্ত স্যার প্রয়োগের ফলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্য বলেন, কৃষক’রা যেনো যেকোনো ধরণের সমস্যার বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অথবা আমার সাথে সরাসরি কথা বলে। আমারা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করবো।