বরগুনায় অবৈধ জাল নিধন ও অবাধে মাছ ধরার অপরাধে দুই জেলেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তিনটি ট্রলার ১৩ হাজার টাকায় উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ দুইটি বেহেন্তি জাল, ৭টি ট্রাম পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আমতলী লঞ্চঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, পায়রা নদীতে অবৈধ জাল নিধন ও অবাধে মাছ ধরা বন্ধে আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার রোববার সকালে আমতলীর পায়রা নদীতে অভিযান চালায়। এ অভিযানে দুইটি বেহেন্তি জাল, ট্রাম, তিনটি মাছ ধরা ট্রলারসহ মঞ্জু সিকদার ও মিলন সিকদার নামে দুই জেলেকে আটক করা হয়। পরে আমতলী উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুর রহমান মৎস্য সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০ সালের ৫ এর ১ ধারায় পাঁচ হাজার টাকা করে দুই জেলেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। তিনটি ট্রলার তেরো হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
আমতলী উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুর রহমান বলেন, পাঁচ হাজার টাকা করে দুই জেলেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। তিনটি ট্রলার নিলামে বিক্রি করা হয়। অভিযানে জব্দ জাল ও ট্রাম পুড়িয়ে ফেলা হয়।