আলোচিত তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রোববার (৫ মার্চ) গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। এ উদ্দেশ্যে লাহোরে ইমরান খানের বাসভবন জামান পার্কে হানা দিয়েছিলেন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি তারা।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছেন, দুপুরে যখন পুলিশ সদস্যরা ইমরানের বাড়িতে আসেন, তখন তারা দেখতে পান সেখানে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন। তারা পুলিশকে জানান, ইমরান খান বাড়িতে নেই।
ডন আরও জানিয়েছেন, যে পরিমাণ পুলিশ সদস্য জামান পার্কে গিয়েছিলেন সে তুলনায় পিটিআইয়ের নেতাকর্মীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তা সত্ত্বেও ইসলামাবাদ পুলিশের প্রধান জানিয়েছিলেন, তারা খালি হাতে ফিরে যাবেন না। কিন্তু জনসমাগম বেশি হওয়ায় এবং ইরমান খানকে খুঁজে না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই তাদের ফিরে যেতে হয়।
পুলিশ যখন চলে যায় তখন অনেকে ভাবতে থাকেন জামান পার্ক থেকে কী ইমরান খান চলে গেছেন? তবে বিকাল ৫টার দিকে জামান পার্কের ভেতর থেকেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ইমরান। যেটি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
এদিকে তোশাখানা মামলায় তিনবার নির্ধারিত সময়ে হাজিরা না দেওয়ায় আদালত ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই রায়েরই বাস্তবায়ন করতে রোববার তার বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কী বলেছেন ইমরান খান
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ইমরান খান বলেছেন, তিনি কখনো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে মাথা নত করেননি এবং পাকিস্তানকে কখনো কারো কাছে মাথা নত করতে দেবেন না। এছাড়া দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও কথা বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনো দেশ ছাড়ব না।’ উল্টো তিনি অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোটে যারা আছেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিলে ‘পা কাঁপত।’
এছাড়া যেসব সমর্থক তার জন্য ‘জেল ভরো’ আন্দোলন করছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে পুলিশ ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার পর ইমরান খানের আইনজীবীরা আগাম জামিনের আবেদন করতে আদালতে যান। কিন্তু তারা এ আবেদন জমা দিতে পারেননি।
সূত্র: দ্য ডন