প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘পুরুষদের চেয়ে আমাদের নারীরা অনেক বেশি পরিশ্রমী। আমাদের নারীরা অনেক এগিয়ে। আমার বিশ্বাস এক সময় বিচার বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন নারীরা।’
বুধবার (১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে দুটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের লেখা ‘বঙ্গবন্ধু-রবীন্দ্রনাথ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ও তার সহধর্মিণী নাফিসা বানুর লেখা ‘বঙ্গবন্ধু শুদ্ধাচার নারীর ক্ষমতায়ন ও অন্যান্য’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নেওয়ার সময় আমরা দেখেছি, পুরুষদের চেয়ে আমাদের নারীরা অনেক বেশি পরিশ্রমী। নারীরা অনেকাংশে এগিয়ে। জুডিসিয়ারিতে ভাইভাবোর্ডে পুরুষেরা ইনিবিনিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন। কিন্তু নারীরা দেখেছি সুন্দর করে আস্তে আস্তে টু দ্য পয়েন্টে উত্তর দেয়। নারী বিচারকেরা অনেক ভালো করছেন।
তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িত নাকি অসাম্প্রদায়িক, এই প্রশ্ন প্রায়ই সামনে আসে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের নিজেদের চরিত্রটাই সাংঘর্ষিক। যখন গুজরাটে দাঙ্গা হলো, তখন এই দেশের মুসলমানরা বলতে লাগলো, গুজরাটে যদি এখন ধর্মনিরপেক্ষ সরকার থাকতো, তাহলে অবস্থা এই রকম হতো না। আর আমাদের দেশে যখন কোনো ঘটনা ঘটে তখন সেই অসাম্প্রদায়িক মানুষগুলোই সাম্প্রদায়িক হয়ে যান।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান যে বই লিখেছেন, তার প্রতিটা লেখার ভেতর তার অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা, মানুষ সম্পর্কে তার অনুভূতি ফুটে উঠেছে। নাফিসা বনুর বইয়েও তার চিন্তা চেতনা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার এক অনন্য সম্মিলন ঘটিয়েছেন।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মো.নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রওশন আরা বেগম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জার্নিম্যান প্রকাশনীর প্রকাশক কবি তারিক সুজাত এবং মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক।