প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মঙ্গলবার হাওর উপজেলা মিঠামইন সফর উপলক্ষে তাঁকে উৎসব ও ধুমধাম করে স্বাগত জানাতে কিশোরগঞ্জবাসী এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি সকালে মিঠামইনে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন।
বিকেলে মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশে যোগদানের আগে তিনি উপজেলার কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জন্মস্থান পরিদর্শন করবেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে শুধু কিশোরগঞ্জের মিঠামইন নয়, পুরো হাওরাঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে এলে হেলিপ্যাড থেকে জনসভার মাঠে যাওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ থেকে দুটি রিকশা আনা হয়।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু রাস্তার জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে রিকশায় চড়ে সামনে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় কিছুক্ষণ পর তাঁকে রিকশা থেকে নামতে হয়।’
‘সেই সময়ে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল’-উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেছেন তা আমাদের কল্পনার বাইরে।’
রাষ্ট্রপতির ছেলে তৌফিক বলেন, হাওর অঞ্চলে সেতু, কালভার্ট, রাস্তাসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করায় হাওর অঞ্চলের মানুষ আর বঞ্চিত থাকবে না।
কিশোরগঞ্জের জলাশয়ের ওপর দিয়ে এলিভেটেড হাইওয়ে বাস্তবায়িত হলে হাওরাঞ্চলের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে কিশোরগঞ্জের মানুষ উৎসাহ ও অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছে। সমগ্র জেলা ও অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনাকে দেখতে সমাবেশে যোগ দেবেন। হাওর অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সত্যিই ঋণী, কারণ তিনি এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বর্ণিল তোরণ ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নেতারা বিলবোর্ড, ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।