ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বল্প পরিসরে হলেও নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছে কৃষকের বাজার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৭ বার

কৃষকের বাজারের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে হলেও জনগণের কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এলাকাভিত্তিক কৃষকের বাজার স্থাপনের ফলে এলাকাবাসী ব্যাপক সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা এখান থেকে নিয়মিত পণ্য ক্রয় করেন। পাশাপাশি কৃষকের বাজারে পণ্য বিক্রি করে অধিক লাভ পান বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের উপকার বিবেচনায় একটি পৃথক ডেস্কের মাধ্যমে বাজারগুলোর স্থায়ী হওয়া প্রয়োজন।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা মহানগরের ১৬টি কৃষকের বাজার স্থায়ীকরণের কৌশল নিরূপণে আয়োজিত মেট্রোপলিটন লেভেল স্ট্র্যাটেজিক সভায় এসব কথা বলেন আলোচকরা।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, কৃষকের বাজারে নিরাপদ পণ্য নিশ্চিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে সচেষ্ট হতে হবে। বাজারগুলো টেকসই করে তুলতে কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড কমিটির সভায় এ বিষয়টি থাকতে হবে। এছাড়া এক বছরের জন্য বাজারগুলো চলমান রাখতে একটি সুনির্দিষ্ট বাজেটের জন্য সিটি কর্পোরেশনের কাছে সুপারিশ করা যেতে পারে। এরপর কৃষকদের পণ্যের দামের সাথে পরিবহন খরচ ধরে কৃষকদের মাধ্যমেই পরিবহন খরচ ব্যয় করতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন অধিশাখার যুগ্ম-সচিব নুমেরী জামান বলেন, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কৃষকের বাজারের জন্য একটি পৃথক ডেস্ক নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এটি খুব দ্রুত কার্যকর করা হবে। যখন ডেস্ক তৈরি হবে তখন বাজেটও বরাদ্দ হবে। প্রকল্প শেষ হয়ে গেলেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের ফুড সিস্টেম পলিসি ইকোনমিস্ট পেদ্রো আন্দ্রেস গার্জন ডেলভো বলেন, অধিকাংশ কৃষক এবং ভোক্তা কৃষকের বাজার চলমান রাখার বিষয়ে আগ্রহী। ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্প থেকে আমরা একটি ব্যতিক্রমী বাজারের সূচনা করেছি, যার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, কৃষকের বাজারের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে হলেও জনগণের কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ কার্যক্রমটি আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আমাদের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন অধিশাখার যুগ্ম-সচিব নুমেরী জামানের সভাপতিত্ব সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

স্বল্প পরিসরে হলেও নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছে কৃষকের বাজার

আপডেট টাইম : ০১:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কৃষকের বাজারের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে হলেও জনগণের কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এলাকাভিত্তিক কৃষকের বাজার স্থাপনের ফলে এলাকাবাসী ব্যাপক সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা এখান থেকে নিয়মিত পণ্য ক্রয় করেন। পাশাপাশি কৃষকের বাজারে পণ্য বিক্রি করে অধিক লাভ পান বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের উপকার বিবেচনায় একটি পৃথক ডেস্কের মাধ্যমে বাজারগুলোর স্থায়ী হওয়া প্রয়োজন।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা মহানগরের ১৬টি কৃষকের বাজার স্থায়ীকরণের কৌশল নিরূপণে আয়োজিত মেট্রোপলিটন লেভেল স্ট্র্যাটেজিক সভায় এসব কথা বলেন আলোচকরা।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, কৃষকের বাজারে নিরাপদ পণ্য নিশ্চিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে সচেষ্ট হতে হবে। বাজারগুলো টেকসই করে তুলতে কাউন্সিলরদের ওয়ার্ড কমিটির সভায় এ বিষয়টি থাকতে হবে। এছাড়া এক বছরের জন্য বাজারগুলো চলমান রাখতে একটি সুনির্দিষ্ট বাজেটের জন্য সিটি কর্পোরেশনের কাছে সুপারিশ করা যেতে পারে। এরপর কৃষকদের পণ্যের দামের সাথে পরিবহন খরচ ধরে কৃষকদের মাধ্যমেই পরিবহন খরচ ব্যয় করতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন অধিশাখার যুগ্ম-সচিব নুমেরী জামান বলেন, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কৃষকের বাজারের জন্য একটি পৃথক ডেস্ক নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এটি খুব দ্রুত কার্যকর করা হবে। যখন ডেস্ক তৈরি হবে তখন বাজেটও বরাদ্দ হবে। প্রকল্প শেষ হয়ে গেলেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের ফুড সিস্টেম পলিসি ইকোনমিস্ট পেদ্রো আন্দ্রেস গার্জন ডেলভো বলেন, অধিকাংশ কৃষক এবং ভোক্তা কৃষকের বাজার চলমান রাখার বিষয়ে আগ্রহী। ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্প থেকে আমরা একটি ব্যতিক্রমী বাজারের সূচনা করেছি, যার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, কৃষকের বাজারের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে হলেও জনগণের কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ কার্যক্রমটি আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আমাদের সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন অধিশাখার যুগ্ম-সচিব নুমেরী জামানের সভাপতিত্ব সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।